প্রচন্ড গরমে নাজেহাল সকলেই৷ গরমে কমবেশি প্রায় সকলেরই অসুস্থতা দেখা দেয়৷ নিজেদেরই কিছু অভ্যাসের জন্য আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে হয়৷ গরমে সুস্থ থাকতে যে অভ্যাসগুলো অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে৷
- রোদ থেকে বাসায় ফিরে প্রচন্ড গরমে আরাম পেতেই গলায় ঢালি বরফ ঠান্ডা পানি৷ এর থেকে শুধু গলা ব্যথা বা হজমের সমস্যা নয়, হঠাৎ স্ট্রোকও হয়ে যেতে পারে৷
- গরমে ক্লান্তি দূর করে নিজেদের চাঙ্গা করতে চা, কফি খায় অনেকেই৷ ক্যাফেইনের মধ্যে থাকা ডাই-ইউরেটিক অ্যাসিড শরীর ডিহাইড্রেটেড করে দেয়৷ ফলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরা৷ গরমে চা, কফি কম খেতে হবে৷
- রাস্তায় বেরিয়ে গরমে হাসফাঁস লাগলে অনেকেই প্যাকেজড ড্রিঙ্ক, ক্যানড জুস খায়৷ এইসব জুসে থাকে অ্যাডেড সুগার৷ যা সেই মুহূর্তে এনার্জি বাড়ালেও প্রচুর ক্যালোরি যোগ করে৷ ফলে কিছুক্ষণ পর শরীর ক্লান্ত লাগে৷
- গরমকালে অনেকেই খোলামেলা পোশাক পরেন৷ ফলে এই সময় ওজন কমাতে অনেকেই ক্র্যাশ ডায়েট মেনে চলেন৷ ক্র্যাশ ডায়েট মাথা ঘোরা, বমি ভাব, ডায়রিয়ার সমস্যা বাড়ায়৷
- গরমে অনেকেই বদহজম হওয়ার ভয়ে মাছ, চিকেন, ডিম খাওয়া ছেড়ে শুধু নিরামিষ খান৷ এগুলো লিন প্রোটিন৷ শরীরের জন্য যেমন উপকারি তেমনই ওজন ধরে রাখতেও৷ গরমে আমাদের সুস্থ রাখতে, এনার্জির জন্য এগুলো প্রয়োজন৷ হাই প্রোটিন এড়াতে মাটন, বিফ থেকে দূরে থাকুন৷
- অনেকেরই অভ্যাস থাকে খেয়ে উঠে স্নান করার। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলিতে রক্তের পরিমাণ বাড়ে। তাই খেয়ে উঠেই স্নান করলে হজমের সমস্যা হয়।
- খেয়ে উঠে ঘুমিয়ে পড়াও ভাল নয়। এতে মেদ জমার সম্ভাবনা বাড়ে। বরং খাওয়ার পর অল্প হাঁটাহাঁটি করুন।
- ধূমপান শরীরের যে পরিমাণ ক্ষতি করে, ভরপেট খাওয়ার পর ধূমপান করলে সে ক্ষতি বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
- ভরা পেটেই শরীরচর্চা করলে উপকার তো হয়ই না, উল্টে শরীরকে কষ্ট দেওয়ার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করে তা।