অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার অনেকের পছন্দ নয়৷ আর এই গরমে তো একেবারেই ভালো লাগে না৷ কিন্তু আপনি যদি রোজকার ব্যবহৃত মশলাগুলির গুণাগুণ জেনে যান এবং সেগুলি যদি পরিমাণ মতো ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন আর কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না৷ এই ধরুন গরম মশলা৷ অনেকেই ভাবেন গরম মশলা বুঝি শরীরের পক্ষে ভালো নয়৷ কিন্তু তা সত্যি নয়৷ বরং একেবারে উলটো। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গরম মশলা বানাতে যে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তার ভিতরে অনেক উপকারী উপাদান থাকে৷ ফলে সেইগুলি শরীরের পক্ষে ভালো হয়৷ তবে জেনে নেওয়া যাক গরম মশলার উপকারগুলি৷
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: শুনতে আজব লাগলেও একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত গরম মশলা খাওয়া শুরু করলে দেহের কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে৷ যা ইমিউনিটির উন্নতি ঘটাতে সময় লাগে না। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
শরীরের সচলতা বৃদ্ধি পায়: গরম মশলার মধ্যে প্রচুর মাত্রায় মজুত রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনপ্লেমেটারি উপাদান, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রপাটিজ, অ্যান্টি-ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ লোয়ারিং প্রপাটিজ৷ যা ছোট থেকে বড়ো কোনও রোগকেই ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বৃদ্ধি পায়৷
শরীর এবং ত্বকের বয়স কমায়: রান্নায় গরম মশলার পরিমাণ একটু বেশি হলে কোনও ক্ষতি হয় না৷ উল্টো দেহের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপাটিজের মাত্রা বৃদ্ধি করে৷ যার কারণে শরীর এবং ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: গরম মশলা হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়৷ তাই বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্বাদ গ্রন্থিরা বেজায় অ্যাকটিভ হয়ে পরে। ফলে খাবার খাওযার ইচ্ছাও বাড়ে।
অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে: গরম মশলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন৷ যা শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে রক্তাল্পতা দূর হতে সময় লাগে না।