ডিএমপি নিউজঃ প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মে হেমন্তে সোনালী ধানের মিষ্টি গন্ধে মেতে উঠেছে বাংলার জনপদ। মাঠে মাঠে এখন রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। পটুয়াখালী জেলার রাংগাবালী ও গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষান-কৃষানীরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা-মাড়াই কাজ করছে কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পটুয়াখালী উপ-পরিচালক খামারবাড়ির দাবি, ধান উৎপাদনের এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাংগাবালী উপজোলায় ৩৫ হাজার ৫ হেক্টর আমন চাষের মধ্যে ২১ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে উন্নত প্রজাতির উকশি আমন ধানের চাষাবাদের পাশাপাশি ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে স্থানীয় প্রজাতীর আমন চাষ হয়েছে বলে রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। কৃষকের আঙিনা ভরে উঠছে সোনালি ধানে, মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝলক। ফসলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠছে সারা বাড়ি। উঠানে ছড়ানো সোনালি ধান। সাথে আনন্দের বন্যা। কয়েক দিন পরে ঘরে ঘরে হবে নবান্ন উৎসব। কন্যা-জায়া-জননীর ব্যস্ততা এখন দিনরাত।
উক্ত উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড় গ্রামের কৃষক শংকর চন্দ্র জানান, তিনি ৩ একর ১৬শতাংস জমিতে চাষ করেছেন রোপা আমন ধান। ধান কাটা শুরু করেছি ফলন ভাল হয়েছে। দামও পেয়েছি ভাল। প্রতি বছর ধান উঠার সময় দাম পড়ে যায়। কিন্তু এবার দাম পড়েনি। এ জন্য কৃষকদের খুব বেশি লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.বনি আমিন খান জানান, এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে কৃষকরের ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা আগামী দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পারবে। অকালে ভারি বর্ষণে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।