ডিএমপি নিউজঃ গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- রুপালী খাতুন ও মোহাম্মদ সুজন মিয়া ।
১৮ জুলাই, ২০২১ (রোববার) ভোর ৬:০০ টায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার বড়াইকান্দি এলাকা হতে রুপালী খাতুন এবং জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার মীরেরগঞ্জ এলাকা হতে সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করে কাশিমপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই, ২০২১ (শুক্রবার) দুপুর ২:৩০ টায় গাজীপুর, কাশিমপুর থানার পশ্চিম শৈলডুবী এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ঘরের বালুর নিচে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম এর অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গত ১৭ জুলাই, (শনিবার) কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। এ মামলার তদন্ত শুরু করে কাশিমপুর থানা পুলিশ।
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবে খোদা জানান, উক্ত মামলা তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার বড়াইকান্দি এলাকা হতে রুপালী ও জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার মীরেরগঞ্জ এলাকা হতে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত রুপালী ভিকটিম জাহিদুলের স্ত্রী হন। ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত রুপালী কাশিমপুর থানার পশ্চিম শৈলডুবী এলাকায় ভাড়া থাকতো। গ্রেফতারকৃত রুপালী ও সুজনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের কারণে তারা ভিকটিম জাহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ৬ জুলাই, ২০২১ (মঙ্গলবার) রাত ১১ টায় রুপালী ভিকটিম জাহিদুলকে দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ খাওয়ান। এরপর ভিকটিমের স্ত্রী রুপালী ফোন করে সুজনকে ডেকে আনেন। রাত ১:০০ টায় সুজন ঘুমন্ত জাহিদের হাত পা চেপে ধরে ও রুপালী ভিকটিমকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত রুপালী ও সুজন ভিকটিম জাহিদুলকে পাশ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন ঘরের বালুর নিচে চাপা দেয়।
গ্রেফতারকৃতদের ১৮ জুলাই, ২০২১ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন মর্মে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।