ডিএমপি নিউজ : রাজধানীর সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা গুলিস্তানের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উদ্যোগে ট্রাফিক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের উম্মুক্ত প্রাঙ্গণে ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম-সেবা-এর সভাপতিত্বে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের অন্তর্গত গুলিস্তান রাজধানীর অন্যতম একটি ব্যস্ততম স্থান। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক এ এলাকায় যাতায়াত করে থাকেন। ফুটপাত ও রাস্তায় হকারের অবস্থান, আন্ডারপাস ব্যবহার না করে লোকজনের যত্রতত্র রাস্তা পারাপার, ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী যানবাহনের তীব্র চাপ, ল্যান্ডিং স্থান ও গাড়ি ধারণ ক্ষমতা অপ্রতুল, সর্বোপরি ২৫ ব্যানারের প্রায় সহস্রাধিক গাড়ি নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচল, অযান্ত্রিক যানবাহনের সমাহার ইত্যাদি কারণে যানজট এখানে লক্ষ্যণীয়।
সভায় ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ ও ঢাকা সড়ক পরিবহনের যৌথ উদ্যোগে ৫০ জন ট্রাফিক কমিউনিটি পুলিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা ওই এলাকায় যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে ট্রাফিক পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তারা দৈনন্দিন দুই পালায় দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের প্রত্যেককে ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের পক্ষ থেকে একটি করে কমলা রঙের কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ লেখা জ্যাকেট ও বাঁশি প্রদান করা হয়।
যানজট কমাতে সভায় কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এগুলো হলো-
১. এই এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি রাখা যাবে না।
২. কোনক্রমে বাম লেন বন্ধ করা যাবে না।
৩. যাত্রী না থাকলে গাড়ি এক লেনেও রাখা যাবে না; গাড়ির চাকা ঘূর্ণায়মান থাকতে হবে যাতে পিছনে যানজট না সৃষ্টি হয়।
৪. ফ্লাইওভার ল্যান্ডিংয়ে যাত্রী উঠানো বা নামানোর জন্য গাড়ি কোনক্রমেই থামানো যাবে না।
৫. কোনক্রমেই গাড়ি ডাবল লেন করা যাবে না।
৬. গাড়ি চালানোর সময় কোন অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে কাউকে দুর্ঘটনায় ফেলা যাবে না।
৭. কোথাও এমনভাবে গাড়ি রাখা যাবে না যাতে ঐ গাড়ির জন্য অন্য গাড়ির চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
৮. উল্টা দিক দিয়ে কোন রিকশা চলাচল করবে না।
৯. কারো সাথে কোন ধরণের অপেশাদার কিংবা খারাপ আচরন প্রদর্শন করা যাবে না।
সভায় ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।