ডিএমপি নিউজঃ গেন্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করার সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
নিহতের নাম- ইমন ওরফে ইমু ওরফে সুলতান ওরফে ইয়াছিন ওরফে জানু ওরফে জানে আলম ওরফে সুমন ওরফে শুটার ইমু (৩৫)। তার বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার মহিষার গ্রামে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ডিবি পূর্ব বিভাগের নিকট তথ্য আসে যে, রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানাধীন ধুপখোলা মাঠে অজ্ঞাতনামা কতিপয় সন্ত্রাসী অস্ত্র-গুলিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ নভেম্বর’১৮ রাত ২.৫৫ টায় ডিবি-পূর্ব বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে গেন্ডারিয়ার ডিষ্ট্রিলারী রোড ধুপখোলা মাঠ চটপটি গেটের ভেতর যায়। এ সময় পুলিশের অবস্থান বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে সন্ত্রাসীদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। উভয়ের গোলাগুলির এক পর্যায়ে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীকে পুলিশ দ্রুত ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ঘটনাস্থল হতে একটি বিদেশী রিভলবার যার ম্যাগাজিনের ভেতরে ৫ রাউন্ড গুলি লোডেড অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নিহত সন্ত্রাসীর বিষয়ে জানা যায়, সে মহানগর এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলার তথ্য পাওয়া গিয়েছে।