সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমির অংশকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে তেল আবিব এবার মার্কিন প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাসে আমেরিকা তার দূতাবাস স্থানান্তর করার পর ইসরায়েল আসকারা পেয়ে গোলান মালভূমি বিষয়ে ওয়াশিংটনের স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার রয়টার্সকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের গোয়েন্দামন্ত্রী কাট্জ বলেছেন, গোলান মালভূমির ইস্যুটি ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এজেন্ডার প্রথমে রয়েছে। তিনি তার ভাষায় দাবি করেন, যে আমেরিকা অধিকৃত গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তা হবে ইরানের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ইরান বিরোধী তৎপরতায় এ পদক্ষেপ নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেও গোয়েন্দামন্ত্রী দাবি করেন।সিরিয়ার বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীকে ইরান সামরিক পরামর্শ দেয়ায় ইসরায়েল তেহরানের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। কারণ অবৈধ ইসরাইল এবং এর মিত্রদেশগুলো এসব সন্ত্রাসীকে আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে মদদ দিয়েছে।
কাট্জ আরও বলেন, গোলান মালভূমি বিষয়ে এ ধরনের পদ্ক্ষেপ নেয়া এখনই উপযুক্ত সময়। গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মার্কিন স্বীকৃতি সম্বলিত বিবৃতি হবে ইরানের জন্য আরও একটি বেদনাদায়ক জবাব।
চলতি বছর আরও কয়েক মাস পরে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে কাটজের দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।