প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, গ্যাস সংকট মোকাবেলায় সরকার নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অচিরেই এ সংকট কেটে যাবে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাজধানীর কাওরানবাজারস্থ পেট্রোসেন্টারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)-এর চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)-এর চেয়ারম্যান জনাব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনাব আবুল মনসুর মোঃ ফয়েজউল্লাহ প্রমুখ। সেমিনারে এলএনজি টার্মিনাল নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আরপিজিসিএল (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী লি.)-এর ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম। গ্যাসের পাইপলাইন নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মনিরুজ্জামান।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে স্থলভাগ থেকে গ্যাস আহরণ জোরদার, সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান কাজ শুরু করা, বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিপিসিকে শক্তিশালী করা এবং এলএনজি আমদানির পথ সুগম করার কথা বলেন।
জ্বালানি সচিব বলেন, সরকার শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে ব্যবসায়ীদের দাবি পূরণ শুরু করেছে। গত সপ্তাহে সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে গ্যাসের জন্য আবেদন করাদের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আগেই যারা সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছিল, তাদের সংযোগ আগেই দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রায় সাড়ে তিনশ বাণিজ্যিক সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান সচিব।
তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরু থেকে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা গ্যাস পাবেন। তিনি বলেন, ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার শিল্পের গ্যাস সংযোগ দেওয়ার বিষয়েও চিন্তা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল পরিবহন করে খরচ কমানো ও নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন জ্বালানি সচিব। তিনি বলেন, সারাদেশ তেল সরবরাহের জন্য আপাতত চারটি পাইপলাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আলোচনায় বক্তারা জ্বালানি সাশ্রয়ের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারের শুরুতে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পেট্রোবাংলা ও এর অধীনস্থ কোম্পানিসমূহের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।