দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে কাজ করার ফলে ঘাড়, কোমড় ও পিঠের ব্যথা হয়ে থাকে। এসকল ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে জীবনযাত্রা এবং হাঁটা-চলা ও বসার অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
আসুন জেনে নিই এমন ঘাড়, কোমর আর পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় :
১। বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বেরনোর আগে অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে থাকি। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ ধরে বইতে হলে এবং এক্ষেত্রে দু’ কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমনভাবে নিতে হবে যাতে দু’কাঁধে সমান চাপ পড়ে।
২। শোবার সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে, বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সোজা বা সমান্তরাল রেখে শোওয়া যায়। এলোমেলোভাবে না ঘুমিয়ে, সোজা হয়ে বা এক পাশে কাত হয়ে ঘুমান।
৩। বেশিরভাগ মানুষই ভুল ভঙ্গিমায় বসে বা দাঁড়ায়। যার ফলে ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই বসা, দাঁড়ানোর বা শোওয়ার সময় ভঙ্গি সতর্কভাবে খেয়াল রাখুন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসুন বা দাঁড়ান। ঝুঁকে বসবেন না বা কম্পিউটারে কাজ করবেন না।
৪। অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হলে মাঝে মাঝে ২-৩ মিনিটের জন্য উঠে একটু হেঁটে আসুন। একটানা ২ ঘণ্টা বসে থাকলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উৎসেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে। ৪ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমড়ে বা পিঠে ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও।
৫। ফ্রোজেন শোল্ডার বা স্টিফ জয়েন্টের সমস্যায় সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পরলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদী এই অভ্যাস করলে বিপদ। তেমন কোনো চোট, আঘাত না থাকলে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস-এর ওপর নির্ভর না করাই ভালো। এর থেকে নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা উত্তম।