জল ও জঙ্গলের কাব্য বা পাইলট বাড়ি খ্যাত রিসোর্টটি গাজীপুর জেলাস্থ টংগীর পুবাইলে ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে। প্রাকৃতিক এক ভূমিকে অবিকৃত রেখে আরো প্রাকৃতিক করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোয়ায়। এক জোসনা রাতে আগে থেকে থবর দিয়ে চলে যান সেখানে। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্ত বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন একটা দিন।
খরচ ও প্যাকেজ
ডে আউট প্যাকেজ
* দুপুরের খাবার সহ ডে আউট প্যাকেজ ১৫০০ টাকা জনপ্রতি, বাচ্চা বা ড্রাইভার/এসিস্টেন্ট এর জন্যে ৭৫০টাকা জনপ্রতি। সর্বনিম্ন ১০ জনের গ্রুপ হতে হবে।
* সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার সহ জনপ্রতি ২০০০ টাকা, বাচ্চা বা ড্রাইভার/এসিস্টেন্ট এর জন্যে ১০০০ টাকা। সর্বনিম্ন ১০ জনের গ্রুপ হতে হবে।
* লাঞ্চ ও ডিনার সহ প্যাকেজ ৩,৫০০ টাকা জনপ্রতি, বাচ্চা/ড্রাইভার/এসিস্টেন্ট এর জন্যে ১৭৫০টাকা। সর্বনিম্ন ১০ জনের গ্রুপ হতে হবে।
নাইট স্টে প্যাকেজ
* ডিনার ও ব্রেকফাস্ট সহ প্যাকেজ ৪,৫০০টাকা জনপ্রতি, বাচ্চা বা ড্রাইভার/এসিস্টেন্ট এর জন্যে ২২৫০টাকা।
* ডিনার ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ সহ প্যাকেজ ৫,৫০০ টাকা জনপ্রতি, বাচ্চা বা ড্রাইভার/এসিস্টেন্ট এর জন্যে ২৭৫০টাকা।
জল ও জঙ্গলের কাব্যের প্যাকেজগুলো সময়ভেদে পরিবর্তিত হয় তাই জল ও জঙ্গলের কাব্যে যাবার আগে কতৃপক্ষকে ফোন করে বর্তমান প্যাকেজ সম্পর্কে জেনে নিন।
কিভাবে যাবেন
পুবাইল কলেজ গেট থেকে জল জঙ্গলের কাব্য রিসোর্টের দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। ঢাকার মহাখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে নরসিংদী কিংবা কালিগঞ্জগামী বাসে মাত্র ৪০ টাকা ভাড়ায় পুবাইল কলেজ গেট আসতে পারবেন। পুবাইল কলেজ গেট থেকে রিক্সা যোগে পাইলট বাড়ি বা জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্টে পৌঁছাতে পারবেন।
ঢাকার সায়েদাবাদ, আজিমপুর, গুলিস্তান কিংবা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেলে থেকে গাজীপুর, ভিআইপি, ঢাকা ও বলাকা পরিবহনের বাসে করে জনপ্রতি ৭০ টাকা ভাড়ায় শিববাড়ী এসে ৮০ থেকে ১০০ টাকা অটোরিকশায় ভাড়ায় জল জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট আসতে পারবেন।
এছাড়া জয়দেবপুর রাজবাড়ির পাশ দিয়ে টঙ্গী স্টেশন রোড বা ৩০০ ফিট দিয়ে পুবাইল, ডেমুরপাড়াতে অবস্থিত জল জংগলের কাব্য রিসোর্টে যাওয়া যায়।
খাবার
জল ও জংগলের কাব্য রিসোর্টে সাধারণত দেশীয় খাবার ও পিঠা পরিবেশন করা হয়। খাবার তালিকায় রয়েছে ভাত, পোলাও, মুরগির মাংশ, চালতা দিয়ে ডাল, তেতুল দিয়ে কচুমুখি, রুই মাছ, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, গুড়া মাছসহ আরো বেশকিছু মজাদার খাবার। সকালের নাস্তায় গুড়, চিতই পিঠা, লুচি, মাংশ, ভাজি, চা, মুড়ি পরিবেশন করা হয়। আর দুপুর বেলায় পরিবেশন করা হয় ভাত, পোলাও, মাছ ও টক দিয়ে তৈরি কচুমুখির ঝোল, মুরগির ঝোল, দেশী রুই, ৩ পদের ডাল, কয়েক পদের ভর্তা ও সবজি।