ঘুর্ণিঝড়ে সম্ভাব্য দূর্গত অঞ্চলের বিপদে পড়া ও আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসায় আগাম ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ৩৭২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
চিকিৎসার সুবধার্থে ওই সব অঞ্চলের চিকিৎসক ও চিকিৎসা কাজে সহযোগীসহ সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আক্রান্তদের প্রাাথমিক চিকিৎসার সকল ধরনের ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। জরুরি খোজ খবর নেয়ার জন্য একাধিক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জনদের মতে, দূর্গতদের চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রস্তুত। জেলা থেকে উপজেলা পর্যন্ত মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। এছাড়াও মংলা ও পায়রাসহ অন্যান্য বন্দর এলাকায় চিকিৎসকরা দুর্যোগ মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন মজুদ আছে। কেন্দ্রীয়ভাবে আরও ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত করলে দূর্গত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রে অসুস্থ্যদের চিকিৎসার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলে ৩ থেকে ৫জনের মেডিক্যাল টিম থাকবে। আর চিকিৎসার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে। এই জন্য আক্রান্ত জেলা গুলোতে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ৩ থেকে ৫জন ডাক্তার থাকবেন। এই জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪১৫ জন ডাক্তার। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একাধিক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি দূর্গত অঞ্চলে মেডিক্যাল টিম রয়েছে। দূর্গতদের চিকিৎসায় ডাক্তারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এ দিকে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন জানান, কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৮৮টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। একাধিক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। অসুস্থ্যদের চিকিৎসায় চিকিৎসকরা প্রস্তুত।