বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আগে শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। মোরার প্রভাবে ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটিতে অন্তত ২০১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মোরার প্রভাব থেকে বাঁচতে প্রায় পাঁচ লাখ শ্রীলঙ্কান ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, ভারতের বিহারে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাব ও বজ্রপাতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ‘মোরা’ আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কয়েক দিন ধরে ভারি বর্ষণ হচ্ছিল শ্রীলঙ্কায়। যাতে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির ছাদেও পানি উঠে গেছে বলে জানা যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী কলম্বো থেকে ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এলাকা। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই রাচার চাষের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে আজ সকালে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে মোরা। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানার সময় ঘন্টায় একশ কিলোমিটারেও বেশি গতিবেগ ছিল মোরার। যাতে এখন পর্যন্ত তিনশর বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।