একজন মানুষ নিজেই হয়ে উঠতে পারবে নিজের ঘরের, অফিসের কিংবা গাড়ির চাবি। এটিএম মেশিনে হাত ছোঁয়ালেই বেরিয়ে আসবে টাকা।চাবি বা ব্যাংকের কার্ড নিয়ে আমরা প্রায়শই ঝামেলায় পড়ি। কখনো হারিয়ে ফেলি, কোথায় রেখেছি হয়তো খুঁজে পাই না। এরকম চাবি বা কার্ড হারিয়ে ফেলার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে, এখন আর এগুলো নিয়ে খুব বেশি ভাবতে হবে না।
হাতের তালুতে ছোট্ট একটি মাইক্রোচিপ বসিয়েই এ কাজ করা যাবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিফেন নরথ্যাম উদ্ভাবন করেছেন এই প্রযুক্তিটি। কুকুর-বিড়ালের শরীরে অনেকদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে উল্লেখ করে নরথ্যাম বিবিসিকে বলেন, কুকুর বিড়ালের শরীরে এই মাইক্রোচিপসের ব্যবহার বহু বছর ধরেই চলছে। এখন আমরা এমন ধারণা করছি এই প্রযুক্তি এখন মানুষের শরীরেও ব্যবহার করতে পারবো। তবে মানুষের শরীরে এই চিপ ঢোকানোর অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি।
‘এই অনুমতিটা পেলেই মানবদেহে চিপ বসানোর দরজাটা খুলে যাবে। তখন দরজা খোলা, গাড়ি স্টার্ট দেওয়া এসব নিয়ে চাবি সাথে রাখার ঝামেলাই আর থাকবে না।’ বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
কিন্তু কীভাবে এটি কাজ করবে সে প্রসঙ্গে জানান, প্রক্রিয়াটি খুব সহজ। সময়ও লাগবে খুব কম। এটা অনেকটা নাক ও কান ফোঁড়ানোর মতো। মাইক্রোচিপ বসানোর কাজটা করা হবে একজন ডাক্তারের মাধ্যমে, চেতনা-নাশক ওষুধের সাহায্যে। হাতের চামড়ার নিচে ঢুকাতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মতো।
তবে চিপ দিয়ে কি মানুষকে অনুসরণ করা সম্ভব? বিজ্ঞানী স্টিফেন নর্থহ্যাম জানান, এটা সম্ভব নয়। কারণ চিপটি সম্পূর্ণ অচেতন বা জড় একটি পদার্থ। ফলে এর সাহায্যে কাউকে ট্র্যাক করা যাবে না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডে যে ধরনের প্রযুক্তি থাকে মানুষের হাতে বসানো মাইক্রোচিপটিতেও থাকবে ওই একই প্রযুক্তি। ফলে দোকানে গিয়ে মেশিনে শুধু হাত ছুঁইয়ে দিয়েই আপনি মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
‘ওই চিপের মধ্যে থাকবে মৌলিক কিছু তথ্য। থাকবে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত কিছু তথ্য, ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্কের তথ্য ইত্যাদি। চাইলে আপনি আপনার হাতকে একটি ব্যাঙ্ক কার্ড হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।’