নিজের অবস্থানে অনড় থেকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে একে অপরে। পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিচ্ছে। একে অন্যকে কিভাবে বিপদে ফেলা যায সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুটা অবাক করে দিয়েই হঠাৎ ভূতের মুখে রামনাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করতে শুরু করেছে চীন। তাদের সংবাদপত্রে মোদির প্রশংসা করা হযেছে।
কমিউনিস্ট পার্টি তথা চীনের সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস গত মাসের শেষ থেকে এ ভারত ও মোদিকে সমালোচনা করছে। সেই গ্লোবাল টাইমসেই মোদি সরকারের কর সংস্কার ও অর্থনৈতিক নীতির প্রশংসা দেখা গেল। গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতে জিএসটি (পণ্য ও পরিষেবা কর) প্রবর্তনের প্রশংসা করা হয়েছে। কর ব্যবস্থার সরলীকরণের ফলে নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি সাফল্য পেতে পারে বলেও সেখানে লেখা হয়েছে। খবর এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কম খরচে উৎপাদনের জায়গা থেকে যেহেতু চীন ক্রমশ সরে যাচ্ছে। তাই গোটা বিশ্বের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চীনের বিকল্প হয়ে ওঠার চেষ্টা করা ভারতের পক্ষে এবং গোটা পৃথিবীর পক্ষেই এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। চীন হয়তো ভারতের জায়গা নেবে। তাদের জায়গায় স্থানান্তর হবে ভারত। তারা সেই দিকেই এগুচ্ছে।
ভারতে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে এবং বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুনের জন্য শিল্পায়ন কর্মসূচি রূপায়ণে সমস্যা রয়েছে। তার পাশাপাশিই জিএসটি ব্যবস্থার প্রশংসা করে সেখানে লেখা হয়েছে, এই কর সংস্কারের ফলে গোটা ভারতে কর ব্যবস্থা একই রকম হবে এবং এর ফলে নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি গতি পেতে পারে।
সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতের আলাদা কোনো কর ব্যবস্থা থাকবে না। পুরো দেশ জুড়ে একটাই কর ব্যবস্থা থাকবে। যা দেশটির জাতীয় বাজার ব্যবস্থা গড়ে ওঠবে। এতে ভারতের অর্থনীতিতে গতি আসবে। যা চীনের প্রতিযোগী হয়ে ওঠবে। কারণ চীন পুরো বিশ্ব বাজারে একটা বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে। ভারতের নতুন এ ব্যবস্থা বিশ্ব বাজারে বেইজিংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলবে দিল্লি। ২০১৪ সালে মোদি এ পদক্ষেপ নেয়। এবার সেই ব্যবস্থা পুরো দেশ জুড়ে চালু করা হবে। যা ভারতের অর্থনীতিকে গতিশীল করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন হয়তো কৌশল বদলের পরিকল্পনা করছে। তাইতো মোদির প্রশংসতা করছে। নয়তো এই মুহূর্তে মোদির জিএসটি নিয়ে চীনের প্রশংসা করে সম্পাদকীয় ছাপার কোনো কারণ নেই। এখন সময়ই বলে দেবে বাকিটা।