বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএসএস স্টেথেম নামের ওই রণতরী পারাসেল দ্বীপের অংশ ট্রাইটনের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্য দিয়েছে গেছে।
ওই দ্বীপকে দাবি করা নিয়ে চীনকে অনেকদিন ধরেই সতর্ক করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীনের দাবি এটা তাদের সার্বভৌমিক অধিকার। এর মাঝে এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শীতল করতে পারে।
জাতিসংঘ নিয়মানুসারে কোনও দ্বীপের উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকাই শুধু ওই দ্বীপ নিজেদের এলাকা বলে দাবি করতে পারে। ফলে মার্কিন রণতরী যেখানে অবস্থান করেছে সেটা নিয়ে অভিযোগ তোলার অবকাশ নেই চীনের।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। এশিয়ার অন্যান্য দেশও এ অঞ্চলে কিছু প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপের মালিকানা দাবি করে। ফলে এই অঞ্চল খুবই বিরোধপূর্ণ। অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে চীন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।