চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে এবার রাস্তায় নামলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বিক্ষোভের কারণ, চীনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’। তিনটি মহাদেশ জুড়ে তৈরি হতে থাকা এই রাস্তার একটি অংশ যাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মুখে বাণিজ্যের কথা বললেও আসলে সামরিক উদ্দেশ্যেই এই রাস্তা বানাচ্ছে চীন। এই প্রকল্পের জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরীদের জমি নেওয়া হলেও কোনও সুফল তাঁরা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগেই এখন বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কাশ্মীরীদের একাংশ।
ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টি (ইউকেপিএনপি)-র নেতৃত্বেই চলছে এই বিক্ষোভ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নিয়ে তৈরি হওয়া এই সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, ‘‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সাধারণ মানুষের জন্য নয়। এই প্রকল্পের জন্য এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় প্রশাসনের পাকিস্তানকে চাপ দেওয়া উচিত।’’
আনুমানিক ৫০০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে যাবে চীনের কাশগড় আর পাকিস্তানের গ্বাদর সমুদ্রবন্দর। ৩০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা ও রেলপথের একটি অংশ যাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। ইউকেপিএনপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘‘কৌশলগত কারণে এলাকায় সামরিক প্রভাব বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা। এর সঙ্গে স্থানীয় মানুষের উন্নয়নের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
বিতর্কিত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে এই রাস্তা যাওয়া নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা আগেই জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেই আপত্তিকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি চীন ও পাকিস্তান। কিন্তু এই রাস্তাই এখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কোনও কোনও মহলের দাবি, চীনের ফায়দা দেখতে গিয়ে আসলে নিজের বিপদই ডেকে আনছে ইসলামাবাদ।