চুল কম বেশি সবারই পড়ে। হয়তো সেটা কারো একটু কম বা কারো একটু বেশি। দিনে ৫০ থেকে ১০টা চুল পড়া সবার জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি হলেই সেটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে যত তারাতারি সম্ভব চুল পড়ার আসল কারণটা খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
চুল পড়া আটাকাতে প্রতিদিন তেল মাসাজ করাটা জরুরি। এমনটা করলে মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ খুব বেড়ে যায়। ফলে চুলের গোড়া আরও শক্তপোক্ত হয়। আর একবার চুলের গোড়া মজবুত হয়ে গেলে চুল পড়া স্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। তাহলে একটু কষ্ট করে নিজেই বানিয়ে ফেলুন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তেল। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন তেল-
উপকরণ:
ঘরে তৈরি ১।নারকেল তেল, ২।আমলকি, ৩।মেথি, ৪।কালোজিরা, ৫।নিমপাতা, ৬।মেহেদী পাতা, ৭।পেঁয়াজ, ৮।অ্যালোভেরা জেল ও ৯।জবা ফুল।
প্রণালি
এইসব উপকরণ একসঙ্গে মৃদু আঁচে ৮-১০ মিনিট জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করুন এবং ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন।
এই তেল দিয়ে মাথার তালু এবং চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুলের ফলিকল মজবুত হবে, চুল ওঠাও কমে যাবে। এই তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে যা খুসকি আর চুলকানি থেকে স্ক্যাল্পকে রক্ষা করে। ব্যবহার করার আগে তেল সামান্য গরম করে নেওয়া ভালো। সপ্তাহে দু‘দিন ব্যবহার করুন।
উপাদানগুলোর গুণাগুণ
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিয়োলাইটিক এনজাইম থাকে, যা মাথার ত্বকের নানান সমস্যা দুর করে। ত্বক এর আর্দ্রতা ঠিক রাখে। এতে খুশকি দুর হয়। চুল পড়া কমে। আর চুল বাড়েও খুব তাড়াতাড়ি।
আমলকি: আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে ভিটামিন, মিনারেল এবং খনিজের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
জবা ফুল: চুল পড়া কমিয়ে চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে জবা ফুল। এছাড়াও প্রাকৃতিক কন্ডিশনার এর কাজ করে জবা ফুল
মেহেদী পাতা: এই তেলে ব্যাবহার করা হয়েছে মেহেদী পাতা। যা চুলের গোড়া মজবুত করে, চুলের রুক্ষতা দূর করে, চুল পড়া কমায়, চুল ঝলমলে হয়। নতুন চুল গজানো থেকে শুরু করে চুলের নানা সম্যসা দূর করে থাকে মেহেদি।
কালোজিরা: এই তেলে কালোজিরা অ্যান্টি ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। কালোজিরা মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্য যেমন ফুসকুরি, শুষ্কতা এসব দূর করে।