চশমা আর লেন্সের মধ্যে লেন্স অধিক জনপ্রিয় হলেও চশমার ব্যবহারে দাঁড়ি টানা যায় না। সারা ক্ষণ লেন্স পরে থাকার নানা অসুবিধা রয়েছে। চশমা ব্যবহাররে কিছু নিয়ম আছে। যা মানলে চোখ ভাল থাকে, টেকসই হয় চশমাও। মেনে চলুন কয়েকটি সহজ নিয়ম।
কী কী করবেন:
চশমা সব সময় একটি খাপের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। যখন তখন ব্যাগের মধ্যে কোথায় চশমার বাক্স রেখেছেন তা খুঁজে বের করতে অসুবিধে হলে একটি ফ্লুরোসেন্ট মার্কার বা টেপের টুকরো লাগিয়ে রাখতে পারেন চশমার বাক্সের উপর। অন্ধকারের মধ্যেও এগুলো জ্বলজ্বল কর। সহজে চোখে পড়ে। নিজের লুকের সঙ্গে মানানসই চশমা কিনুন।
চশমা বাছতে বসে সাবধানী হোন। চশমাও কিন্তু লুকেরই অংশ, তাই ঠিক কেমন লাগছে তা নিশ্চিত হয়ে তবেই চশমা কিনুন। রোজ ব্যবহারের চশমা যেন শক্তপোক্ত হয়। অনেকেরই শুধু রিডিং গ্লাসেই কাজ চলে যায়। তেমন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে ভাল করে পরামর্শ করে নিন।
প্রতিদিন অন্তত একবার চশমা পরিষ্কার করুন। এটুকু চোখের যত্নের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়। হালকা গরম জল ও নরম কোন সাবান দিয়ে চশমা ধুয়ে নিন। চশমা পরিস্কারের জন্য যে নরম কাপড়টি দোকান থেকে দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে লেন্সের অংশ মুছে নিন। কড়া সাবান দিয়ে চশমা ধোবেন না। রুক্ষ কাপড়ে চশমার কাচ পরিস্কার করবেন না। এতে নষ্ট হয় লেন্স।
বাড়তি কয়েক সেট চশমা রাখুন। অফিসের ব্যাগেও অবশ্যই স্পেয়ার চশমা রাখবেন। কোনও কারণে চশমা ভেঙে গেলে বা হারিয়ে গেলে কাজে আসবে তা।
কী কী করবেন না:
স্টাইলের কারণে অনেকেই চশমা খুলে মাথার উপর রাখেন। এমনটা কয়েক বার করলেই চশমা আলগা হতে শুরু করবে, চুলে জমে থাকা তেল, শ্যাম্পু চশমার কাচের গায়ে জমে লেন্সকে ঝাপসা করে দেবে এক সময়।
চশমা খুলে যেখানে সেখানে ফেলে রাখবেন না। দুর্ঘটনা এড়াতে এটা মেনে চলাই ভাল।
সানগ্লাসে অবশ্যই পাওয়ার নিন। অনেকেই দৃষ্টিশক্তির খুব অসুবিধা না থাকলে সানগ্লাসে আলাদা করে পাওয়ার করান না। এমন হলে কিন্তু চোখেরই ক্ষতি।