দুর্গম সেই পথ পাড়ি দেওয়ার অভিযানে আগামীকাল বড় বাধা বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠে ‘এল ক্লাসিকো’ জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখে বার্সার চেয়ে এগিয়ে যাবে ৬ পয়েন্টে। তখন শিরোপাটাও চলে আসবে হাতছোঁয়া দূরত্বে। এর প্রেরণা নিয়েই জিনেদিন জিদানরা চেষ্টা করবেন চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাটা ধরে রাখতে। তবে আপাতত আগামীকালের ম্যাচটি ঘিরেই সব মনোযোগ ৩২ বারের লিগ চ্যাম্পিয়নদের।
এল ক্লাসিকোর গতিপথ বহুবার ঠিক করে দিয়েছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এবারও দুজনের একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই দেখার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব। তবে ম্যাচের আগে হঠাৎ বার্সেলোনার রাস্তায় মেসি-রোনালদোর অদ্ভুত আবেগঘন ছবি। নিচে ফুটবল রেখে দুজন জড়িয়ে ধরেছেন একে অন্যকে! সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এমন কিছু হবে না, এটা নিশ্চিত। এল ক্লাসিকোয় সবচেয়ে বেশি ২১ গোল করা মেসি বিস্ময়করভাবেই গোলহীন রিয়ালের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে ৪-৩ গোলে জেতা ম্যাচে অবিস্মরণীয় হ্যাটট্রিকের পর খেলা আর কোনো ম্যাচেই পাননি গোলের দেখা। বিপরীতে এরপর খেলা পাঁচটি এল ক্লাসিকোয় রোনালদোর গোল তিনটি। গত বছর টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার বার্সার রেকর্ডটা থেমেছিল ন্যু ক্যাম্পে ৮৫ মিনিটে রোনালদোর গোলে ১-২ ব্যবধানে হেরে।
পিএসজির বিপক্ষে রূপকথার প্রত্যাবর্তনের নায়ক ছিলেন নেইমার। সেই তাঁকে ছাড়া এল ক্লাসিকোয় খেলা বার্সার আরেকটি ধাক্কা। মালাগার বিপক্ষে লাল কার্ড দেখার পর সহকারী রেফারিকে গালি দেওয়ায় নেইমার নিষিদ্ধ হয়েছেন তিন ম্যাচ। এর বিপক্ষে আপিল করেছিল বার্সেলোনা। গত পরশু সেটা খারিজ করে দিয়েছে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) আপিল কমিটি। বার্সা হাল ছাড়ছে না তার পরও। শেষ ভরসা হিসেবে তারা আপিল করবে আন্তজার্তিক ক্রীড়া আদলতেও (সিএএস)। সেখানে ইতিবাচক রায় পেলেই কেবল এল ক্লাসিকোয় খেলা হবে এই ব্রাজিলিয়ানের।
গোল মেশিন হয়ে ওঠা লুই সুয়ারেসও গোলহীন টানা চার ম্যাচ। গোলের দেখা পাননি মালাগা, জুভেন্টাসের বিপক্ষে দুই লেগের চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল আর রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ১৮০ মিনিট জুভেন্টাসের রক্ষণদেয়াল ভাঙতে পারেনি বিখ্যাত এমএসএন জুটি। সেখানে বায়ার্ন মিউনিখের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে দুই লেগে রিয়াল করেছিল ৬ গোল। তাই রোনালদোরা কিছুটা এগিয়ে থেকেই নামবেন এবারের এল ক্লাসিকোয়।
সেটা মানছেন না বার্সা অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তিনি বরং প্রেরণা খুঁজছেন আগের বড় জয়গুলো থেকে, ‘এল ক্লাসিকোয় অনেক স্মরণীয় জয় আছে আমাদের। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ২০০৯ সালে ৬-২ আর পরের বছর ৫-০ গোলে জেতার কথা। রিয়াল খুব ভালো খেলছে, তবে ওদের হারানোর সামর্থ্য আছে আমাদের। ’ আগামীকাল বার্সার এমন একটা জয়ই পারে লা লিগায় প্রাণ ফেরাতে। নইলে রিয়ালের লিগ জেতাটা হয়ে পড়বে সময়ের অপেক্ষা। সেই আত্মবিশ্বাস প্রেরণাও জোগাবে ৫৯ বছর পর লা লিগা আর চ্যাম্পিয়নস লিগের ডাবল জিততে। মার্কা