ডিএমপি নিউজ: জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে রাস্তায় সমাবেশ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম(বার), পিপিএম।
আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি.) বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. শনিবার ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশ করার আবেদনের প্রেক্ষিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়া পল্টন বা তার আশপাশের রাস্তায় সমাবেশ করতে ইচ্ছুক। বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশে লক্ষাধিক লোকসমাগম হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় ১০-১৫ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাকি লোক বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ফলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিতসহ ভয়াবহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। এ কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা টঙ্গী ইজতেমা মাঠ, কালশি মাঠ কিংবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মাঠে সমাবেশ করলে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি হবে না।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামীলীগসহ বিএনপির একাধিক সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু এখন রাস্তায় সমাবেশ করে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রচলিত আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বিশেষ অভিযান ও চেকপোস্ট সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিসেম্বর মাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস ও বড়দিনসহ একাধিক জাতীয় কর্মসূচি রয়েছে। এ কারণে গত ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ অভিযান ও চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে।
নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, কর্মদিবসে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া তারা রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান করলে জননিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাদের রাস্তা হতে সরিয়ে দেয়।
এসময় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম(বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম(বার) সহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।