ডিএমপি নিউজ: “পথে চলতে নাইতো ভয়, স্বস্তিতে ঢাকা-৯” স্লোগানে ঢাকা-৯ নির্বাচনী এলাকায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাদক নির্মূল ও অপরাধ দমনে খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপির ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতায় স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের ‘বিশুদ্ধানন্দ-শুদ্ধানন্দ’ অডিটোরিয়ামে উদ্ধোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
’স্বস্তি’ প্রকল্পের আওতায় খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪১৩টি উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামেরাগুলো রাতেও প্রায় ৯০ ফুট দূর থেকে স্বচ্ছ চিত্র ধারণ করতে সক্ষম। প্রকল্পটি পরিচালনা করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)। খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রকল্পে সার্বিক সহযোগিতা করেন মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, পিপিএম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি ধাপ আমরা অতিক্রম করলাম। আমার নির্বাচনী এলাকার তিন থানায় প্রায় ১৫ লক্ষ লোকের বসবাস। এখানে কর্মরত একজন পুলিশ সদস্য প্রায় ৩ হাজার লোকের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। আমরা চেষ্টা করেছি ‘স্বস্তি’ প্রকল্পের ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশের এ কাজটা যেন আরও সহজ যায়।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প যখন পরীক্ষামূলকভাবে চলছিল তখন বেশ কয়েকটি মামলার খুনিদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ক্যামেরার সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তায় সকলের সযোগিতা প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটা দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কিছু ব্যতিক্রম বাদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছেন। অপরাধীরা এই ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা অপরাধের কাজে ব্যবহার করছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে এই এলাকা প্রযুক্তির আওতায় চলে এলো। ফলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধী দমনে পুলিশ তাৎক্ষণিক কাজ করতে পারবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও নগরবাসীকে স্বস্তিতে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ডিএমপি কমিশনার বলনে, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ২ কোটি লোকের বসবাস। এই শহরের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
অনুষ্ঠানে মতিঝিল বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও ঢাকা-৯ নির্বাচনী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।