বিদেশে জনশক্তি রফতানি বেড়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিশ্বের ১৬টির বেশি দেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৯০ কর্মী গেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবেই গেছেন ৩ লাখের বেশি। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশে যাওয়ার এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৯৫। ওই বছর মোট ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ জনশক্তি বিদেশে গিয়েছিল। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এবং বন্ধ থাকা ও নতুন কয়েকটি শ্রমবাজার চালু হলে এবার জনশক্তি রফতানির সংখ্যা ১০ লাখের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৯০ কর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭৬৯ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনশক্তি গেছে সৌদি আরবে, ৩ লাখ ২ হাজার ২৭৩ জন। এর পরে রয়েছে কাতারে ৫১ হাজার ৮৪৯ জন, ওমানে ৫০ হাজার ৬৩৭ জন, কুয়েতে ২৫ হাজার ৬৩৭ জন, সিঙ্গাপুরে ১৯ হাজার ৭৮৪ জন, বাহরাইনে ১৬ হাজার ৪৭০ জন, মালয়েশিয়ায় ১৪ হাজার ৬২৪ জন, জর্ডানে ১০ হাজার ৭০২ জন, লেবাননে ৪ হাজার ৮৬১ জন, ব্রুনাইয়ে ৪ হাজার ৪৬৫ জন, ইরাকে ২ হাজার ৫২৪ জন, মরিশাসে ২ হাজার ৩৪৩ জন। এছাড়া আরব আমিরাত, সুদানসহ অন্যান্য দেশে কিছু সংখ্যক কর্মী গেছেন।
এ বছরের জুন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী গেছেন সৌদি আরবে, ৪৩ হাজার ৭৪৪ জন। এর পরে জর্ডানে ১০ হাজার ৫৬৮ জন, ওমানে ৫ হাজার ৩৮৭ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ৮২৫ জন, লেবাননে ৯১৪ জন নারী শ্রমিক গেছেন।
এ বছরের প্রথম ৬ মাসে জনশক্তি রফতানির হার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সন্তোষজনক আখ্যায়িত করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বিএমইটির মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা। তিনি বলেন, এবার আমাদের টার্গেট ১০ লাখ জনশক্তি রফতানি। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এবার জনশক্তি রফতানিতে রেকর্ড সৃষ্টি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একই ধরনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জনশক্তি রফতানিকারক বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমদ বলেন, এ বছর জনশক্তি রফতানির হার বেশ চাঙ্গা। আমরা এবার ১০ লাখ জনশক্তি রফতানির টার্গেট নিয়েছি। এটা পূরণ করাটা বিরাট ব্যাপার হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহৎ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার সাড়ে চার বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। একইভাবে বন্ধ আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার বাজার। এছাড়া সিরিয়া, লেবানন, বাহরাইন, কুয়েত ও ইরাকে শ্রমিক পাঠানোর হার খুবই কম। তবে বন্ধ বাজারগুলো খোলা এবং নতুন নতুন শ্রমবাজার চালুর জন্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা জানিয়েছেন।