ডিএমপি নিউজঃ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর এসআইএন্ডও, অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের সদস্যগণ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী ঢাকা হতে জমির ভুয়া বায়নাপত্র তৈরি প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতের নাম-মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে মোঃ শহীদুল্লাহ (৫৫)। তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি থানার উত্তর রমজানপুর গ্রামে। এছাড়া ইতিপূর্বে উক্ত চক্রের আরও একজন সদস্যকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার নাম-সুভাষ মজুমদার (৫৭)।
গ্রেফতারের সময় শহিদুলের হেফাজত হতে জমির একাধিক বায়নাপত্র দলিল/চুক্তিনামা দলিল, জমির ভুয়া কাগজপত্র, ব্যাংকের চেক বই, পাসপোর্ট, ০১টি প্রাইভেট জীপ, ০৭টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটরের মোবাইল সীম ১২টি, ০১টি কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক, একাধিক ট্রেড লাইসেন্স ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ম্যাজিক ডলার উদ্ধার করা হয়।
০১ নভেম্বর, ২০১৮ বেলা ১২:০৫ টায় গুলশান পিংক সিটি মার্কেটের সামনে থেকে শহিদুলকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে উক্ত প্রতারক চক্র ধানমন্ডি সিটি জেনারেল হাসপাতাল এর চিকিৎসক মোঃ রেজাউল করিম এর নিকট জমি বিক্রি করার কথা বলে ভুয়া জমির মালিক ও ক্রেতা সেজে তারা সকলেই নিজেদের ভুয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করে তার নিকট হতে দুই দফায় জমির বায়না মূল্য বাবদ সর্বমোট পঞ্চাশ লক্ষ টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে। ২০১৪ সালে রুজুকৃত এমনই একটি মামলার পুনঃতদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এই প্রতারণা চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল শহিদুল।
পিবিআই সূত্রে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের টার্গেট করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নিকট হতে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করায় প্রতারণার শিকার কেউই তাদেরকে খুঁজে পায়না এবং এভাবেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।