জল আমাদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য উপাদান। জল খাওয়ার ফলে শুধু আমাদের তেষ্টাই মেটে না, সেই সঙ্গে শরীরে জলের মাত্রা বা ভারসাম্যও বজায় থাকে। জল কম খেলে যেমন শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই যখন তখন জল খেলেও কিন্তু মারাত্মক বিপদ হতে পারে!
যেমন, খাবার খাওয়ার সময় ঘন ঘন জল খেলে হজমে সহায়ক এনজাইম এবং অ্যাসিডগুলির কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। এই অভ্যাস যদি দীর্ঘদিনের হয় সেক্ষেত্রে বদহজমের সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধবে। ভুল সময়ে জল খেলে শরীরে কী কী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
শরীর ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু তা বলে অতিরিক্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে নুনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়ে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধী হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই তেষ্টা না পেলে জল না খাওয়াই ভাল।
ভারি খাবার, যেমন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ অথবা ডিনারের পরে জল খাওয়াটা একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। খাওয়ার আগে জল খেলেও খাওয়ার পরে জল একবারেই খাওয়া চলবে না। আর খাবার খাওয়ার সময় ঘন ঘন জল খাওয়ার অভ্যাস একবারেই বর্জন করুন।
হালকা শরীরচর্চার (এক্সারসাইজ) পর সামান্য পরিমাণ জল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ভারি ওয়ার্কআউটের পর জল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। আসলে শরীরচর্চার সময় ঘামের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল (খনিজ) বেরিয়ে যায়। এই ঘাটতি মেটাতে শরীরচর্চার পর ডাবের জল খাওয়া চলতে পারে। কিন্তু জল একেবারেই নয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চার পর পর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময় ঠান্ডা জলে খেলে তা দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে পারে না। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।