বহু দেনদরবারের পর অবশেষে শুক্রবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব ১৩-০ ভোটে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৩টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে যুদ্ধবিরতি কথাটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর বদলে শুধু মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলেও; এতে যুদ্ধ থামানোর কথা না বলায়, এর মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব।
পাসকৃত প্রস্তাবটিতে যা রয়েছে:
১. সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
২. একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অবস্থা তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩. ত্রাণ সরবরাহের জন্য যত পথ আছে তার সবগুলো ব্যবহার উপযোগী করে দিতে হবে।
৪. জাতিসংঘের প্রধানের প্রতি একজন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যিনি ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি দেখবেন।
৫. জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
৬. মানবিক সহায়তা পূরণে গাজায় পর্যাপ্ত জ্বালানি প্রবেশ করার দাবি জানানো হয়েছে।
পাসকৃত প্রস্তাবটি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে হামাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত নয়। গত পাঁচদিন ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এই প্রস্তাবটির কাঠামো দুর্বল করতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আমাদের অসহায় সাধারণ মানুষকে ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে যে চেষ্টা চালাচ্ছে, সেটির বিরুদ্ধে গেছে।তথ্যসূত্র:বাংলানিউজ২৪