জাপানের প্রাচীন ধর্মীয় স্থান ওকিনোশিমা দ্বীপ। এই দ্বীপটিতে মহিলাদের যাওয়া নিষিদ্ধ। আর এই বিতর্কিত দ্বীপটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
৯ জুলাই রোববার একে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ।
ওকিনোশিমা দ্বীপেই রয়েছে ওকিতসু উপাসনালয়। সমুদ্রে নাবিকদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনায় যেটি সপ্তদশ শতকে নির্মাণ করা হয়েছিল উপাসনালয়টি। কেবল পুরুষদেরই প্রবেশাধিকার রয়েছে সেখানে। তবে ওই দ্বীপে পা রাখার আগে পুরুষদের জামাকাপড় খুলে রাখতে হয় এবং বিশেষ পদ্ধতিতে নিজেদের শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন করে নিতে হয়।
দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার সময় সেখান থেকে তাদের কোনও স্মারক নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না। এমন কী ওই দ্বীপে যাওয়ার পর কী ঘটেছে, সেটাও তারা অন্য কাউকে বলতে পারেন না। তবে ‘জাপান টাইমস’ পত্রিকা বলছে, উপাসনালয়টি নির্মাণের অনেক আগে থেকেই সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপত্তার জন্য এবং কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সেখানে প্রার্থনা করার রীতি ছিল। বিদেশ থেকে আনা হাজার হাজার শিল্পসামগ্রী ওই দ্বীপ থেকে পাওয়া গেছে। কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে আনা বহু সোনার আংটিও তার মধ্যে ছিল।
প্রতি বছর মে মাসের ২৭ তারিখে ওই দ্বীপে দর্শনার্থীরা আসতে পারেন। তবে দর্শনার্থীদের সব প্রাচীন রীতিনীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হয়। দর্শনার্থীর সংখ্যাও ২০০ এর বেশি হতে পারবে না। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত যে বিষয়টি হল দর্শনার্থীদের সবাইকে পুরুষই হতে হবে।