ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের একটি টিম জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নেয়া সংক্রান্তে প্রতারক চক্রের ০২ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গত ১৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ সকালে রাজধানীর বংশাল থানার চাঁনখারপুল এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- এ্যাডভোকেট মোঃ আঃ সামাদ ও মুহুরি মোঃ বনি আমিন।এসময় তাদের হেফাজত হতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টসহ বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এবং বিভিন্ন জেলখানার ডেপুটি জেলারগণের সীলসহ মোট ৮১টি সীল এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জামিনে মুক্ত করে আনা ১৩টি মামলার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন মামলায় অর্থের বিনিময়ে মামলার এজাহার, জব্দতালিকা, অভিযোগপত্র ইত্যাদি মূল্যবান ডকুমেন্ট জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে তা বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে দূর্ধর্ষ অপরাধী ও বড় মাদক ব্যবসায়ীদেরকে জামিনে বের করে আনে।
গ্রেফতারকৃতরা বায়েজিদ বোস্তামি থানার মামলা নং-২৮, তারিখ-১৯/০৭/২০১৬ইং মামলায় ৫,০০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত আসামী-মোঃ ফজলুল করিম@ফজর আলীর জামিনের জন্য মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিবিধ মামলা নং-৫০৩৪/২০১৭ দাখিল করে। উক্ত মামলার সাথে যে সার্টিফাইড প্রাথমিক তথ্য বিবরণী দাখিল করা হয়, তাতে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেটের পরিমাণ দেখানো হয় ১৮০ পিস। একইভাবে জব্দ তালিকা ও অভিযোগপত্রে ইয়াবা ট্যাবলেটের পরিমাণ ১৮০ পিস দেখানো হয়। মামলার আসামী গত-১৯/০২/২০১৭ ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পায়। এছাড়াও মুগদা থানার মামলা নং-৩১(০৮)১৬, ক্রিমিনাল মিস কেইস নং-৮৩৮৭/১৭, মোট-৬০০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আসামী-মোঃ হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তার দখল থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার দেখিয়ে তাকে জামিনে মুক্ত করা হয়।