ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল নোট চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩৭,৬০,০০০ ভারতীয় জাল রুপি, ১১,৫০,০০০ জাল টাকা ও জাল নোট প্রস্তুতের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
২১ আগস্ট’১৭ মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে জালটাকা প্রস্তুতকারী চক্রের ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি (পূর্ব) বিভাগ। গ্রেফতারকৃতদের নাম-মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে খসরু, মোঃ লিয়াকত হোসেন ওরফে জাকির ও মোঃ রফিজুল ইসলাম। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে জাল টাকা ও রুপি তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি যার মধ্যে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কাঠের ফ্রেম, বিভিন্ন রং, সাদা স্কস্টেব, ল্যামেনেটিং মেশিন, ডেকোরেটিং পাউডার, এডাবটর ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।
দিনের অপর এক অভিযানে ডিবি (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট ফুটওভার ব্রীজের নিচ থেকে জালটাকা প্রস্তুতকারী চক্রের ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের নাম- মোঃ সোহাগ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ মোজাম্মেল হক। গ্রেফতারের পর তাদের হেফাজত থেকে ১০০০ মূল্য মানের ১১ টি বান্ডিল সর্বমোট ১০,৫০,০০০ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ ও ১টি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার জাল টাকা প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প মেয়াদে বাসা ভাড়া করে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে জাল টাকা ও রুপি প্রস্তুত করে বিক্রয় করত। তারা আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাজধানীসহ আশপাশ এলাকায় বিপুল পরিমান জাল টাকা সরবরাহ করার পরিকল্পনার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে ।
আজ ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে এ সংক্রান্তে ব্রিফিং করার সময় ডিবি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল বাতেন পিপিএম বলেন-ঈদ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে জাল টাকার ছড়াছড়ি দেখা যায়। যেহেতু কোরবানীর ঈদ উপলক্ষ্যে হাট-বাজারে গরু কেনাবেচা হয়। উক্ত কেনাবেচার ক্ষেত্রে নগদ অর্থের লেনদেন হয় বিধায় জাল টাকার ছড়াছড়ি বেড়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঈদে গরুর হাটে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে। উক্ত কন্ট্রোলরুমে ও বাজারের ইজারাদারদের নিকট জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন থাকবে।