এ নিয়ে দুই দেশই একে-অন্যকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে । রাশিয়ার অভিযোগ, ওই জাহাজগুলো তাদের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল। সম্প্রতি কৃষ্ণ সাগর ও ক্রিমিয়া উপকূলে আজোভ সাগরে উত্তেজনা বেড়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরোশেংকো বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি পার্লামেন্টে সোমবার সামরিক আইন জারির ঘোষণার জন্য আহ্বান জানাবেন। সাগরে যেখানে দুদেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে সেখানে কের্চ স্ট্রেইট সেতুর নিচে ট্যাংকার স্থাপন করেছিল রুশবাহিনী।
ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের মিটিং এর সময় প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরেশেঙ্কো রাশিয়ার এহেন আচরণকে ‘বিনা উসকানিতে পাগলামি’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান করেছে মস্কো। সোমবার নিউ ইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ঘটনার শুরু যেভাবে
রোববার ভোরে ইউক্রেনের বারডিযানস্ক এবং নিকোপল যুদ্ধজাহাজ এবং দি ইয়ানা কাপা জাহাজ কৃষ্ণ সাগরের ওডিসি বন্দর থেকে রওনা হয় আযোভ সাগরের মারিউপোলের উদ্দেশ্যে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, এ সময় রাশিয়া তাদের জাহাজের পথ আটকাতে চেষ্টা করে। এরপর নৌযানগুলো কের্চ স্ট্রেইটের দিকে যাবার সময় রুশ ট্যাংকার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
রাশিয়া ওই এলাকাতে দুটো যুদ্ধবিমান এবং দুটো হেলিকপ্টার ডেকে আনে। মস্কোর অভিযোগ নৌযানগুলা অবৈধভাবে তাদের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। নিরাপত্তার কারণে ওই পথে চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে বলেও দেশটি জানিয়েছে।
ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদস্যরা জানান, জাহাজগুলো রুশ হামলার মুখে পড়লে তারা ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাদের ছয়জন নাবিক আহত হয়ে বলেও জানানো হয়।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য পরে নিশ্চিত করে যে তাদের একটি টহল জাহাজ তিনটি ইউক্রেনের জাহাজকে জব্দ করেছে। এ ঘটনায় তিনজন নাবিক আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে মস্কো।
সূত্র: বিবিসি