সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিলেন ভারত অধিনায়ক। বলেন,  ‘‘ক্রিকেট জীবনের এই সময়ে এসে মনে হয় না, কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা রয়েছে। কারণ, আমার ক্রিকেট-দর্শনটা খুব সোজা। সেটা হল, কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর ম্যাচে গিয়ে কী ভাবে তা কাজে লাগাচ্ছি। এর বাইরে আর কিছুই নয়।’’

সদ্য সমাপ্ত একদিনের সিরিজে ৫৫৮ রান করে এই মুহূর্তে তিনি খবরের শিরোনামে। সে কথা মনে করিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, এই কৃতিত্বের পরে তাঁকেই বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান বলা যায় কি না। জবাবে ভারত অধিনায়কের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘‘আমার এ রকম ‘সেরা ব্যাটসম্যান’ মার্কা ছাপ দরকার নেই। দরকার নেই সংবাদের শিরোনাম হওয়াও। আমার কাজ মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দিয়ে জয়টা নিয়ে আসা। এটা ক্রিকেট-কলমচিদের ব্যাপার। তাঁরা যা মনে করবেন তা লিখতে পারেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ রকম কোনও ‘ট্যাগ’ চাই না।’’

তবে এতেই থেমে থাকেননি ভারত অধিনায়ক। সাম্প্রতিক অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট হারের পরে যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারত অধিনায়ককে, এ দিন পরোক্ষে তার জবাব দেন বিরাট। বলেন, ‘‘আমি জানি, আমার কাজটা ঠিক কী। আর তা করতে গিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট বা দলের সতীর্থরা আমার সম্পর্কে কী ভাবছে বা আমি ওদের সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খবরের কাগজের শিরোনাম তো প্রতিদিনই পরিবর্তন হয়। আগামিকাল শূন্য রানে আউট হলেই ফের তা পরিবর্তন
হতে পারে।’’

সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘‘যদি আমি কোনও ভুল করি, তা হলে তা সামনে এসে স্বীকার করব। কিন্তু অজুহাত খাঁড়া করব না। আর আমি সেই ব্যক্তিত্ব নই যে প্রকাশ্যে নিজের প্রশংসা করব বা শুনতে চাইব।’’

রবিবার থেকেই শুরু হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে একদিনের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের আনন্দে ভেসে না গিয়ে বিরাট বলছেন, ‘‘সবাই এক সঙ্গে বসে টিমের দুর্বলতাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এটা বলা যাবে না, যে আমাদের দলে কোনও দুর্বলতা নেই। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে, তা আমরা চিহ্নিত করেছি। এ বার সেগুলো শুধরে ফেলার সময়।’’