ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জেএমবি’র আমিরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আঃ হাদী (জেএমবি’র আমির), মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া ও মোঃ রাজিবুর রহমান ওরফে রাজিব ওরফে সাগর।
আজ (২৫ নভেম্বর) সোমবার বেলা ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, গত ২৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ ১৯.৪০ টায় রাজধানীর ভাটারা থানাধীন সাইদ নগর এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ১৫০ টি ডেটোনেটর, জিহাদী বই, ০১ টি কমান্ডো ছুরি ও ২০ পিস জেল জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আঃ হাদী টঙ্গীতে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করা অবস্থায় ২০১০ সালে মৃতঃ তালহা এবং মৃতঃ ডাঃ নজরুল-এর মাধ্যমে জেএমবি-তে যোগদান করে। সংগঠনের প্রতি একাত্মতা এবং বিশ্বস্ততার কারনে ২০১২ সালে সংগঠনের সিদ্ধান্তে তিনি কক্সবাজারে গিয়ে লেখাপড়াসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার দায়ী (দাওয়াতী) শাখার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করে। ঐ সময় তালহা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ১ ব্যাগ কমান্ডো ছুরি আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আঃ হাদীকে দেয়। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সংগঠনের সিদ্ধান্তে গ্রেফতারকৃত আবু রায়হান জঙ্গী খোকনের চাচাত শালিকে বিবাহ করে। আবু রায়হান ঐ নাইফের ব্যাগ কক্সবাজারের নুরুল হাকিম ওরফে আঃ হাকিমের নিকট দেয়।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে নুরুল হাকিম ওরফে আঃ হাকিম সংগঠনের আরও সদস্যসহ শাজাহানপুর থানা এলাকায় আবু রায়হানের নিকট হতে প্রাপ্ত ৩০ টি কমান্ডো ছুরি এবং বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া (৩৭) জেএমবি’র ইসাবা গ্রুপের প্রধান হিসেবে সংগঠন পরিচালনার অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে। সে গত ২৯ মার্চ ২০১৮ তারিখ দক্ষিনখান থানার পীর সাহেবের বাড়ীতে ডাকাতির সময় হাতেনাতে ধৃত হয়। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সে পুনরায় জঙ্গী কার্যক্রম শুরু করে।