গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ আছে। হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে গাজর সাহায্য করে। হার্ট ভালো রাখতে গাজর খান। গাজরের সলিউবল ফাইবার হাই কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখে, ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ গাজর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করে। হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ও পটাসিয়াম, যা ক্ষেত্রবিশেষ দারুণ ওষুধের ভূমিকা পালন করে। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
তাহলে জেনে নিন গাজরের আরো উপকারিতা সম্পর্কে-
হাড়ের শক্তি বাড়ায়ঃ গাজরের রসে আছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং হাড় দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা কমায়। সেই সঙ্গে নানা রকম হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কেটে যায়।
ভিটামিনের অভাব দূর করেঃ দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখে গাজর। কারণ এর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন চোখের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ প্রতিদিন এক গ্লাস করে গাজরের রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। একবার ইমিউন পাওয়ার বেড়ে গেলে রোগে ভোগার আশঙ্কাও কমে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়ঃ গাজরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানকে বের করে দেয়। পাশাপাশি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
ডায়াবেটিস, লিভার ও হার্টঃ গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ডায়াবেটিস রোগ কাছে আসার সুযোগ পায় না। গাজরে থাকা ভিটামিন লিভারের ভেতরে থাকা বর্জ্য বের করে দেয়। এ ছাড়া গাজরে আছে ভিটামিন এ, সি ও বি৬। সেই সঙ্গে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধেঃ গাজরের উপকারী উপাদানগুলো ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অংশ নেয়। এ ছাড়া শ্বাসনালির প্রদাহ ভালো করে।