ডিএমপি নিউজঃ বলতে শোনা যায়, যে তরকারি খেতে সুস্বাদু হয় না, সেটাতে একটু লেবু মিশিয়ে নিলে তার স্বাদ যেন কয়েক গুণে বেড়ে যায়। লেবু যে স্বাদবর্ধক সে বিষয়ে কারো সন্দেহ নেই। এমনকি লেবু পছন্দ করেন না এমন মানুষ-ও নেই বললেই চলে। চটপটি, ফুচকা, হালিম, শরবত, ছোলা, বিরিয়ানি- এসব মুখরোচক খাবারে একটু লেবুর রস ছড়িয়ে না দিলে ব্যাপার টা যেন ঠিক জমে না!
লেবু কি শুধুই স্বাদবর্ধক? না তা নয়। স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি বিভিন্ন ভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে। লেবুর উপকারিতা এতোই বেশি যে তা এক পোস্টে ছোট করে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। চলুন, লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে কিছু জেনে আসি।
১) লেবু ‘ভিটামিন সি’ এর ভাল উৎস। এ ছাড়া নানাবিধ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মোকাবেলা করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভাল রাখে।
২) এতে থাকা প্যাকটিন ফাইবার মলাশয়কে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়া শক্তিশালী এন্টিব্যাকটেরিয়া হিসেবেও কাজ করে।
৩) শরীরের পিএইচ মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ রাখে।
৪) সকাল বেলায় গরম লেবুর রস শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।
৫) হজমে সাহায্য করে ও পিত্তরসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
৬) সিটরিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফরফরাস ও ম্যাঙ্গানিজের ভাল উৎস লেবুর রস।
৭) প্যাথজেনিক ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি ও কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে। এ ব্যাকটিরিয়া ইনফেকশন ও নানাবিদ রোগের কারণ।
৮) শরীরের বিভিন্ন অংশের সন্ধিতে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
৯) ঠাণ্ডায় লেবুর রস খুবই উপকারী।
১০) লিভার এ্যানজাইমের মাধ্যমে লিভারকে শক্তিশালী করে।
১১) হৃদপিণ্ডের জ্বালাপোড়ায় ক্যালসিয়াম ও অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এ সময় এক গ্লাস লেবুর রস আপনাকে আরাম দিতে পারে।
১২) লেবুর রস ত্বক ভাল রাখে। বলিরেখা ও ব্রণ প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
১৩) দৃষ্টিশক্তির জন্য ভাল। চোখের সমস্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
১৪) পরিপাক রস উৎপাদনে সাহায্য করে।
১৫) দীর্ঘ পরিশ্রমের পর শরীরে লবণে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে।
সবগুলো গুণাগুণ পেতে সকাল শুরু করুন এক গ্লাস গরম লেবুর শরবত দিয়ে। এর নিরাময়ী গুণ স্বাস্থ্যে ভাল প্রভাব ফেলে। তবে মনে রাখতে হবে, দাঁতের সংস্পর্শে যেন সরাসরি লেবুর রস না আসে। যা এনামেল ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই শরবত পানের পর ভাল করে কুলি করে নিন।