জেলায় গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে পুকুর, হাওর, বিল ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২১ হাজার ৪শ’ ৩২ দশমিক ২০৯ মেট্রিক টন মাছের উৎপাদন হয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলা মিলে মোট ২১ হাজার ৪৩২ দশমিক ২০৯ মেট্রিক টন মাছের উৎপাদন হয়। এরমধ্যে রয়েছে জেলার ১৮ হাজার ১২৪টি বদ্ধ জলাশয় থেকে মাছের উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার ৪শ’ ৫৯ দশমিক ৫১২ মেট্রিক টন এবং ৫১টি মুক্ত জলাশয় থেকে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৯৭২ দশমিক ৬৯৭ মেট্রিক টন। জয়পুরহাট জেলার বর্তমানে প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষের জন্য এক বছরে মাছের চাহিদা হচ্ছে ২০ হাজার ১১ দশমিক ৫১৯ মেট্রিক টন মাছ। ফলে জেলায় উদ্বৃত্ত মাছের পরিমান হচ্ছে ১ হাজার ৪২০ দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন মাছ।
যা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। মাছ চাষে উদ্বৃত্ত জেলা হওয়ার কারণে জেলায় গড়ে উঠেছে ৭টি মৎস্য খাদ্য উৎপাদন কারখানা। বরফ কলের সংখ্যা ১০টি, মৎস্য বাজার রয়েছে ৭২টি, মৎস্য আড়ৎ হচ্ছে ২০টি । এ ছাড়াও জেলায় মাছের নানা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বিশেষ করে মৎস্য খুচরা বিক্রেতাসহ মৎস্যজীবী ও মৎস্য চাষিদের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার। এতে করে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৎস্য খাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান, জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মিয়া জানান, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার মৎস্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। জেলায় নিবন্ধনকৃত জেলে রয়েছেন ৪ হাজার ২৪০ জন। মাছ ধরতে গিয়ে কারো মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে জেলেদের নিরাপত্তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
মৎস্য বিভাগ জানান, রোগ বালাই দমনসহ মৎস্য চাষিদের সঠিক নিয়মে মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৬৩টি ব্যাচে ১ হাজার ২৯৪ জনকে মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪৫ জন মহিলা রয়েছেন।