ক্যাম্প ন্যুতে মঙ্গলবার রাতে ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অতিথিদের ৫-১ ব্যবধানে হারায় রোনাল্ড কুম্যানের দল। দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালেন লিওনেল মেসি। গোল করেছেন, করিয়েছেন। তাতে হাঙ্গেরিয়ান ক্লাব ফেরেন্সভারোসকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভ সূচনা করেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে মেসি ও অনসু ফাতির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে একবার করে জালে বল জড়ান ফিলিপে কৌতিনিয়ো, পেদ্রি ও উসমানে দেম্বেলে।
এই জয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেই ‘জি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে বার্সেলোনা। দিনের অপর ম্যাচে ডায়নামো কিয়েভকে ২-০ গোলে হারানো জুভেন্তাস আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক গোলের সুযোগ পায় বার্সেলোনা। কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে পারছিলেন না মেসি, কৌতিনিয়োরা। ২৭তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় স্বাগতিক দল। মেসি ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির এটা ১১৬তম গোল; এই নিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে টানা ষোলো মৌসুমে গোলের দেখা পেলেন ছয়বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।
বিরতি থেকে ফেরার সপ্তম মিনিটে দলকে তৃতীয় গোল এনে দেন কৌতিনিয়ো। ব্রাজিলিয়ান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের গোলটিতে বড় অবদান ছিল ফাতির।
ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে পিকে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়া হলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা। তাতে অবশ্য দলটির আধিপত্যে ভাটা পড়েনি। বরং শেষ দিকে সাত মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায় তারা।
দেম্বেলের পাস থেকে ৮২তম মিনিটে গোল করেন টিনএজ খেলোয়াড় পেদ্রি। এর সাত মিনিটের মধ্যে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন দেম্বেলে। মেসির পাস থেকে গোলটি করেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।