ডিএমপি নিউজঃ শ্রীলঙ্কায় ভায়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ঐদেশে কর্মরত ১১ বাংলাদেশীকে দুতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কান সরকার। শ্রীলঙ্কায় হামলায় সন্ত্রাসীদের মধ্যে নিহত হন ইনসাফ আহমেদ ইব্রাহিম এর মালিকানাধীন কলসাস মেটাল ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো বাংলাদেশী ১১ শ্রমিক। তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ওয়ার্কার হিসেবে ঐ ফ্যাক্টরীতে চাকরি করত।
আজ ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ দুপুরে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত আসা ১১ বাংলাদেশী সম্পর্কে সিটিটিসি প্রধান বলেন, শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় ইনসাফ আহমেদ ইব্রাহিম এর নাম আসায় দেশটির সরকার কলসাস মেটাল ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করার পর ঐ ফ্যাক্টরীতে কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেশটির আইন শৃংখলা বাহিনী। ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ১১ জন বাংলাদেশীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদেরকে শ্রীলঙ্কা অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাসে হস্তান্তর করলে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আরও অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা ছিল তাদেরও ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
মূলত ঐ ১১ জন বাংলাদেশী ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় যেয়ে নিম্ন বেতনে কলসাস মেটাল ফ্যাক্টরীতে কাজ করত। তারা ঐ ফ্যাক্টরীতে তামার তৈজসপত্র তৈরি করত। এরা ছিল একেবারে সাধারণ শ্রমিক। ফ্যাক্টরীর মালিকের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান সিটিটিসি প্রধান।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ফেরত আসার পর আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের তাদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার সাথে সম্পৃক্ততার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফেরত আসা এই ১১ জনের এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তবে সেটির বিষয়েও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈশ্বিক ঝুঁকির প্রেক্ষিতে আমাদের দেশ ঝুঁকিতে থাকলেও কোনো হামলার আশঙ্কা নেই। আমাদের দেশে কোনো হুমকি বা হামলার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই। বাংলাদেশে যেসব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, তারা নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার ঘটনায় অনুপ্রানিত হতে পারে। তবে বর্তমানে এসব জঙ্গি সংগঠনের কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটানোর শক্তি বা সামর্থ্য নেই। আমরা সজাগ ও তৎপর রয়েছি।
দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আপনারা চারপাশে চোখ-কান খোলা রেখে সন্দেহভাজন কোন কিছু দেখলে আমাদেরকে জানান।