ডিএমপি নিউজঃ রাস্তায় দায়িত্ব পালনকালে সকল রাগ, অনুরাগ, আবেগ পরিহার করে ধৈর্য ধরে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। সেই সাথে কোন রকম জনহয়রানিমূলক আচরণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় ডিএমপি সদর দপ্তরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের জানুয়ারি-মার্চ/২০১৮ ত্রৈমাসিক সভায় এ রকম নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম। ত্রৈমাসিক সভাটির আয়োজন করে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, ‘রাস্তার শৃংখলা ধরে রাখতে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইন্টার সেকশন ম্যানেজমেন্ট ও টেল ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। ট্রাফিক আইন ভংগ করলে তাকে মামলা দিতে হবে। উদ্দেশ্যমূলক ও জনহয়রানিমূলক মামলা দেয়া যাবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করতে হবে। আইন ভংগ করলে নিয়মিত মামলার চেয়ে বেশি বেশি ভিডিও মামলা করতে হবে। ফ্লাইওভার ও ইন্টার সেকশনে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইন ভংগ করলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মামলা দিতে হবে।’
উক্ত ত্রৈমাসিক ট্রাফিক সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হলো- সকল ফুটপাত দখলমুক্ত করণ, রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখলে নির্মাণ সামগ্রীর মালিকের সাথে যোগাযোগ করে রাস্তা পরিস্কারের ব্যবস্থা করা, রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করে মেরামত না করে ফেলে রাখলে ঐ ঠিকাদারকে নিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করা, ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দোকান বসালে তা উচ্ছেদ করা এবং হকারমুক্ত রাস্তা ও ফুটপাত করা, রাস্তার উপর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করলে রেকারিং করা, ইন্টার সেকশন ম্যানেজমেন্ট সঠিকভাবে করাসহ নানান বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গত তিন মাসে ট্রাফিকের চারটি বিভাগের মামলা ও জরিমানার পরিসংখ্যান দেখানো হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত তিন মাসে ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক আইন অমান্য করায় মোট মামলা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার এবং জরিমানা হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এছাড়াও গত তিন মাসে নিয়মিত মামলার পাশাপাশি ভিডিও মামলা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজারটি।
উক্ত ট্রাফিক ত্রৈমাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।