ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির লুন্ঠিত মালামাসহ ৮ জন দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। গত ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ স্বপন, ২। মোঃ জলিল খান, ৩। মোঃ জালাল হাওলাদার, ৪। মোঃ মোজাম্মেল হক শিশির, ৫। মোঃ মনির হোসেন, ৬। মোঃ শহিদুল ইসলাম ও ৭। মোঃ এনামুল হক। তাদের দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে সিলেট মহানগরীর মোগলা বাজার থানাধীন জকিগঞ্জ রোডস্থ, গোটাটিকর পয়েন্টে অবস্থিত মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ নামক ভাঙ্গারীর গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করিয়া উক্ত গোডাউনের ম্যানেজার ৮। মোঃ সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয় । এ সময় তাদের হেফাজত হতে ৫ টন ৫০০ কেজি পরিমান লুন্ঠিত পিতলের স্কার্ফ এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি তালা ভাঙ্গার কার্টার, দুইটি চাপাতি ও তিনটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
আজ (২৭ জুলাই) বেলা ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম বিপিএম, পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, গত ২৮ জুন ১৯ তারিখ হাজারীবাগ থানাধীন গজ মহল সাকিনের ৭১/৪/এ/১ এর হোল্ডিংস্থ কেবি মেটাল ওয়ার্কস নামীয় কারখানায় রাত অনুমান ০৮.০০ টায় একদল ডাকাত কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে। কারখানায় প্রবেশের পর দারোয়ান ও কর্মচারীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে হাত-পা বেধে কারখানায় থাকা ১৫ টন পিতলের স্কার্ফ (যা কাচাঁমাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়) মূল্য অনুমান ৬০,৫৫,০০০/- (ষাট লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা) লুন্ঠন করে নিয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত আসামীরা স্বর্ণের দোকান, চালের আড়ত, রাস্তার মালামাল বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস, বিভিন্ন শো-রুম, বিভিন্ন গোডাউনে ডাকাতি করে। তারা আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
অনুসন্ধানে জানা যায় উক্ত ধৃত আসামী ১। জালাল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ০৮ টি মামলা, ২। মোঃ স্বপন এর বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ০৩ টি মামলা, ৩। মোঃ সোহেল রানা এর বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ০৪ টি মামলা, ৪। মোঃ এনামুল হক এর বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ০৩ টি মামলা ৫। মোঃ শহিদুল ইসলাম ডাকাতি সহ ০৩ টি মামলা, ৬। মোঃ মনির হোসেন এর বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ০২ টি মামলা, ৭। মোঃ মোজাম্মেল হক শিশির এর বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ০২ টি, ৮। মোঃ জলিল খান এর বিরুদ্ধে ০৩ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।