ডিএমপি নিউজ: কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই, দস্যুতা ও ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত এক নারী সদস্যসহ ১১ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
১৯ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ রাতে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের ওই সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, লুন্ঠিত নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে মোঃ শাহীন আলম (৩০) নামে এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুর্চি নামক স্থানে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন হঠাৎ করে কুমিল্লার দিক থেকে তিনজন ডাকাত একটি মোটরসাইকেল যোগে এসে শাহীনের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। ডাকাত দলের একজন শাহীনের গলায় চাকু ধরেন। বাকি দুজনে মিলে শাহীন আলমের মোবাইল সেট ও মানিব্যাগ এবং কাঁধে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহীন চিৎকার করেন। তখন চৌদ্দগ্রাম থানার টহল পুলিশের একটি দল মোটরসাইকেলটিকে ধাওয়া করে ডাকাত জহির ও জহিরুলকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে একটি চাকু, ভিকটিম শাহীনের মোবাইলসহ লুন্ঠিত ব্যাগ ও নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা অপর ডাকাত গ্রামের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
এদিকে, গ্রেফতার দুই ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দলের পালিয়ে যাওয়া সদস্যের নাম বুলেট বলে জানায়। এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দলের অন্যান্য সদস্য ও তাদের সম্ভাব্য অবস্থানের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের কয়েকটি দল ডাকাত ধরতে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে।
ওদিকে, আত্মগোপনে থাকা ডাকাত বুলেট দলের অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে বলেন। তখন ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্য কামরুল, ফেরদৌস, কামাল,ফাহিম, সুমন, নেয়ামত উল্লাহ, জুয়েল ও মনোয়ারা বেগম একটি মাইক্রোবাস যোগে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঘোলপাশা ইউনিয়নস্থ বাবুর্চি এলাকার একতা ব্রিক ফিল্ডে এলাকায় এসে ডাকাত বুলেটকে নিয়ে ফিরছিলেন।
রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে অর্পিতা ব্রিক ফিল্ডের সামনে একটি মাইক্রোবাস দেখে থানা পুলিশের অভিযানে থাকা দলটি থামতে সংকেত দেয়। কিন্তু চালক মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তখন অনেকক্ষণ ধাওয়া করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাইক্রোবাসটিকে থামিয়ে পলাতক ডাকাত বুলেটসহ দলের উপরোক্ত ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি রাম দা ও ২টি দেশীয় তৈরী চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতা ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় পূর্বের একাধিক মামলা রয়েছে। তথ্য সূত্র: বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুক