ডিএমপি নিউজ: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা কার্যালয় পরিদর্শন করলেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
আজ শনিবার (৫ নভেম্বর ২০২২ খ্রি.) বেলা ১১:০০ ঘটিকায় ৩৬ মিন্টো রোডে অবস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র গোয়েন্দা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডিবির সকল অফিসারদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, আমি ডিএমপিতে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছি, ডিএমপির বাইরে কাজ করার সময় ডিবি ডিএমপির অনেক প্রশংসা শুনেছি। যেকোনো চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন করার সক্ষমতা রয়েছে ডিবির। ডিএমপি ডিবির সক্ষমতা অনেক উঁচু স্তরে।
তিনি আরও বলেন, ডিএমপি কমিশনার হওয়ার পরে সেই প্রশংসিত ডিবির অফিসারদের সাথে বসতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। অপরাধের ধরণ পরির্বতন হচ্ছে, সাইবার ক্রাইম বাড়ছে, এ সকল অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে ডিবিকে কাজ করতে হবে। ডিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।
নব নিযুক্ত কমিশনারকে ডিবিতে আসার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন, আপনি বাংলাদেশ পুলিশের অহংকার। আপনার অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ডিএমপির কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ঢাকা মহানগরের সম্মানিত নগরবাসী যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য আপনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, ডিএমপির ডিবি নগরবাসীর নিকট এখন এক আস্থার নাম। কোন অপরাধ ঘটলে ডিবি শুধু মহানগরীতেই নয়, বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে কাজ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার বলেন, আপনি ক্রাইম ম্যানেজম্যান্টে দক্ষ কর্মকর্তা। ২০১৫ সালে জঙ্গি তান্ডবে যখন রংপুরে জাপানি নাগরিক নিহত হন। তখন আপনার নেতৃত্বে মামলাটির রহস্য উদঘাটিত হয়।
আসাদুজ্জামান বলেন, ডিএমপিতে কোন ঘটনা সংঘটনের সাথে সাথেই ডিএমপির ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সংঘঠিত ঘটনাটি উদঘাটিত না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হয় না ডিবি পুলিশ। ডিবির সক্ষমতা আছে, আপনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেলে আরো এগিয়ে যাবে।
উক্ত সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি দক্ষিণ), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম-সেবা ডিবি ডিএমপির সাম্প্রতিক উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং একই সাথে ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনসহ কিছু দাবি উল্লেখ করেন।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।