এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ডিজিটাল বাণিজ্য জোরদার করতে জাতিসংঘের নতুন ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ, চীন ও কম্বোডিয়া।
মঙ্গলবার ব্যাংককের জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।আঞ্চলিক চুক্তি সাক্ষরের অনুষ্ঠানটি ব্যাংককে ‘হাই লেভেল ডায়ালগ অন এনহ্যান্সিং রিজিওনাল ট্রেড থ্রু এফেক্টিভ পার্টিসিপেশন ইন দ্য ডিজিটাল ইকোনমি’ শীর্ষক বৈঠকে স্বাক্ষর করা হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কের সদর দপ্তরে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করা যাবে এবং ৫টি দেশ অনুমোদন দেয়ার ৯০দিন পরে এটি কার্যকর হবে।
এই ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্পূর্ণ কাগজের নথিহীন ডিজিটাল বাণিজ্য জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। (ইউএনএসক্যাপ) এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. শামসাদ আখতার বলেন, ‘ইউএনএসক্যাপ সদস্য দেশগুলো এই বাণিজ্য চুক্তি এগিয়ে নিতে নেতৃ্ত্ব দিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ দুই মাধ্যম বাণিজ্য ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীনছাড়াও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বেশ কয়েকটি দেশ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে চুক্তিটি স্বাক্ষর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।৫৩টি ইউএনএসক্যাপ সদস্যর জন্য উন্মুক্ত এই আঞ্চলিক চুক্তির মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো উদ্ভাবনী বাণিজ্য বিষয়ক ব্যবস্থা গ্রহণে নেতৃত্ব প্রদর্শন করল। এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশগুলো কাগজের নথিবিহীন ডিজিটাল আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যচুক্তির মাধ্যমে সময়,খরচ কমানোর পাশাপাশি চূড়ান্তভাবে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে দেশগুলোকে।
ইউএনএসক্যাপ এর সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখা গেছে ডিজিটাল আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হবে। এমনকি আংশিক বাস্তবায়নে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে, ৪৪ শতাংশ সময় কম লাগবে এবং ৩১ শতাংশ খরচ কমবে।