ডিএমপি নিউজ : রাজধানীর ডেমরার সুলতানা কামাল ব্রিজের ওপর ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনাল টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আবুল কাশেম ওরফে জাহিদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। গ্রেফতারের পর তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস, ডাকাতির টাকায় কেনা ১টি এ্যাম্বুলেন্স, ১টি প্রাইভেটকার, ১টি মাইক্রোবাস, ১টি মোটরসাইকেল ও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডেমরা জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাতের (লেনিন) নেতৃত্বে গত রোববার অভিযান চালিয়ে ডেমরা থানা এলাকা থেকে আবুল কাশেম ওরফে জাহিদ ও তার সহযোগী মোস্তাফিজুর রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মোস্তাফিজুর রহমানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও পটুয়াখালীর মহিপুর থানা এলাকা হতে ডাকাতির টাকায় কেনা এ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর ডেমরা থানায় একটি ডাকাতি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদি মোঃ জাকির হোসাইন ৮ অক্টোবর বিকেল সোয়া তিনটার দিকে সুলতানা কামাল ব্রিজের ওপর পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস এসে তার প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই মাইক্রোবাস হতে ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা লোক নেমে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে ও তার একজন সঙ্গীকে মাইক্রোবাসে ওঠায় এবং তাদের প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর ডাকাতরা তাদের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে ও হাতে হ্যান্ডকাফ পড়ায়। ডাকাতরা তার কাছে থাকা নগদ সাড়ে ৩৬ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা বাদী ও তার সঙ্গীকে মারধর করে পিস্তল দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। এমনকি তাদের পিস্তল বাদীর হাতে ধরিয়ে ছবি তুলে এবং বলে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে। ডাকাতরা তাদেরকে চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় বিকেল পাঁচটার দিকে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচলে ফেলে চলে যায়।
গতকাল সোমবার গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম ওরফে জাহিদ ডাকাতির ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।