বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণ থাকায় এ ফলের গাছটি রাজবাড়ীর প্রায় বাড়ির আঙিনা ও ছাদে চাষ হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। শুধু একটু পরিচর্যা করলেই ড্রাগন গাছে ফল ধরে। রাজবাড়ীর মানুষের ২-৩ বছর আগেও ড্রাগন ফল পরিচিত ছিল না। এখন এটি বেশ পরিচিত। তাই ড্রাগন ফলের চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে এখানকার লোকজন।
ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে ক্যাকটাসের মতো। ২০১১ সালে রাজবাড়ী হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে এর চাষ শুরু হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষের জন্য প্রয়োজন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বছরে একটি ড্রাগন গাছ থেকে প্রায় ১৪০টি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল আকার ভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
জেলার রূপপুর গ্রামের ড্রাগন ফল চাষি গফুর কাজী জানান,তিনি তার ১০ শতাংশ ফসলি জমিতে ২০০টির বেশি ড্রাগন গাছ লাগিয়েছিলেন। প্রত্যেকটি গাছই এখন ফুলে ফলে ভরা। ইতোমধ্যে তিনি এক মণের বেশি ফল বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ৪৫০টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। অনান্য ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ অধিক লাভজনক বলে তিনি জানান।
জেলা সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন জানান,সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে-দোঁআশ মাটিই ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম।
তিনি আরও জানান,২০১৫ সালে যুব উন্নয়নের আর্থিক সহায়তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক ড্রাগন চাষে আগ্রহী ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যে প্রায় ২ হাজার ড্রাগন চারা বিতরণ করা হয়েছে। সেই থেকেই এখন ফল হচ্ছে। তারা বাণিজ্যিকভাবে এগুলো বিক্রি করছে।