ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নব্য জেএমবি’র দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের নাম-মোঃ মেহেদী হাসান তামিম ও মোঃ আবদুল্লাহ আজমির। গ্রেফতারের পর তাদের হেফাজত থেকে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
১৩ অক্টোবর’ ১৯ রাত ৮.১৫ টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ (১৪ অক্টোবর’১৯) বেলা ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন- গ্রেফতারকৃতরা নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার সদস্য। তারা উভয়েই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা ভোলার একটি দুর্গম চরে প্রশিক্ষণ নেয়। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ হতে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। এ লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতরা ফতুল্লা থানাধীন রফিকের বাসায় বোমা তৈরির একটি কারখানা তৈরি করে। গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে তৈরিকৃত বোমায় গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে এবং ৩১ আগস্ট সাইন্সল্যাবে বোমা/(IED) হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। এছাড়া মালিবাগ, পল্টন ও খামার বাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরিতে বন্ধু রফিককে সহায়তা করেন।
তিনি আরো বলেন- গ্রেফতারকৃতরা জানায় যে, তাদের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপর বোমা (IED) হামলা করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার তক্কার মোড়ে পরিচালিত জঙ্গি বিরোধী অভিযানস্থলে তারা নিয়মিত শলাপরামর্শ করাসহ বিভিন্ন ধরনের বোমার (IED) উৎকর্ষ সাধনে তৎপর ছিল। তাদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃতদেরকে আজ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।