ঢাকা-জাকার্তা সরাসরি ফ্লাইট চায় ইন্দোনেশিয়া। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিসেস রিনা সোয়েমারনো। গতকাল সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক আলোচনায় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ, পরিচালক মো. আবু নাসের ও মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের ইকনোমিক কাউন্সিলর মিস. ইনগ্রিড রোজালিনাও আলোচনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত রিনা সোয়েমারনো বলেন, ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে বিশ্বের ১৬তম বৃহৎ অর্থনীতি এবং জি ২০-এর অন্যতম সদস্য। বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়া যেহেতু এশিয়ার দুটি নিকটতম দেশ এবং দু’দেশই উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে, তাই দেশ দুটির পারস্পরিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইন্দোনেশিয়ার অনুকূলে থাকলেও ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ যেহেতু ওষুধশিল্পে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করছে, তাই রাষ্ট্রদূত ওষুধশিল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আগামী অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ‘৩২তম ট্রেড এক্সপো’-তে প্রতিনিধিদল নিয়ে অংশগ্রহণের জন্য এফবিসিসিআই সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য ইন্দোনেশিয়ায় রফতানি করেছে। এর বিপরীতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ১১০ কোটি ৭১ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে। ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম-টেক্সটাইল এবং নিটওয়্যার। আর ইন্দোনেশিয়া থেকে মূলত টেক্সটাইল সামগ্রী এবং খনিজদ্রব্য আমদানি করা হয়।