প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনার ৭টি বিষয় ধরে কমিশন কাজ এগিয়ে নেবে।
রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের (ইটিআই) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিইসি বলেন, ‘এটি নির্বাচনের একটি সূচনা দলিল।
এ কর্মপরিকল্পনা ধরে সবার মতামত নিয়ে নির্বাচনের পথে আমরা কাজ করবো। আলোচনার ভিত্তিতে এতে সংযোজন-পরিমার্জনও করা হতে পারে।’
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম ও শাহাদত হোসেন চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, শুধু সরকারই নয়, রাজনৈতিক দল বা যে কোন দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আমরা করতে পারব, এ ব্যাপারে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ে সংসদ নির্বাচন করতে দৃঢ়তার সঙ্গে ও সুচিন্তিত পন্থায় এগিয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশে জাতীয় নির্বাচনের একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
সিইসি বলেন, কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে অংশীজন, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপে তাদের সামনে উপস্থাপন করে মতামত নেয়া হবে।
সবার মতামতের আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা সম্ভব।
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের কাছ থেকে সুপারিশের পাশাপাশি সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে তিনি জানান।
দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।