তুরস্কে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের পর আকস্মিক বন্যায় তাঁবু এবং কন্টেইনারে আশ্রয় নেয়া বাসিন্দাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার তুরস্কে এই আকস্মিক বন্যা আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম, ভয়েজ অব আমেরিকা।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাগুলো বন্যার পানিতে কর্দমাক্ত নদীতে পরিণত হয়েছে। নিহত ১৪ জন ছাড়াও জলের স্রোতে আরও অনেক মানুষ ভেসে গেছে। যাদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
দেশটির আবহাওয়াবিদরা জানান গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের একটানা মুষলধারে বৃষ্টির ফলে এই দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া দুর্যোগের ছবিগুলিতে দেখা যায়, বন্যার পানির ঢল রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য স্থাপন করা অস্থায়ী আবাসনগুলোও ভেসে যাচ্ছে পানিতে।
বন্যা কবলিত স্থান তদারকি করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বন্যাকবলিত অঞ্চলে পাঠিয়েছেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু সাংবাদিকদের বলেছেন, বর্তমানে আমাদের কাছে ১৬৩ জনের সমন্বয়ে ১০টি দল রয়েছে যারা ২৫ কিলোমিটার প্রসারিত এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ডুবুরি আছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া তাদের খুব একটা কিছু করতে দিচ্ছে না।
১৪ মে তুরস্কে আসন্ন নির্বাচনের আগে ভয়াবহ ভুমিকম্পের পর এমন আকস্মিক বন্যা রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। দুই দশক শাসনের পর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতি সামলে উঠতে না পারার জন্য জনসাধারণের ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।
এরদোগান বেশ কয়েকবার জনসাধারণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, কোনও জাতিই এই ধরণের বিপর্যয়ের সাথে দ্রুত মোকাবেলা করতে পারে না। সূত্র: আরটিভি অনলাইন