লাল পোশাক, লাল টুপি, সাদা ধবধবে চুল আর সাদা দাড়িই ছিল তার বড় পরিচয়। ঝোলায় উপহার নিয়ে ঘুরাফেরা করাই ছিল সান্তা ক্লজের কাজ।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্যান্টাসি আর নানা কাহিনীর মধ্যদিয়েই কাটতো সান্তা ক্লজের জীবন। এবার বাস্তবের সান্তাকে খুঁজে পেলেন নৃতত্ত্ববিদরা। তিনি সেন্ট নিকোলাস। সম্প্রতি তুরস্কে সেন্ট নিকোলাসের সমাধি আবিষ্কার করেন গবেষকরা।
গবেষকদের দাবি, এই সেন্ট নিকোলাস খুব উদার মনের ছিলেন। শিশুদের জন্য তার অগাধ স্নেহ আর ভালোবাসা ছিল। যে বাড়িতে শিশু আছে, সেসব বাড়িতে তিনি গোপনে উপহার রেখে আসতেন। যার উপহার দেওয়ার রীতিই সান্তা ক্লজের কাহিনীর জন্ম দেয়। তুরস্কের ডেমরে জেলায় সেন্ট নিকোলাস চার্চের নিচে একটা সৌধের সন্ধান পেয়েছেন নৃতত্ত্ববিদরা।
গবেষণা চালানোর সময় সেই সৌধের একটা বিশেষ অংশের খোঁজ মেলে। সেই অংশের নীচেই সমাধিটি রয়েছে বলে জানাচ্ছেন অনুসন্ধানকারীরা। চার শতকে ভূমধ্যসাগরীয় শহর এই ডেমরেতেই সেন্ট নিকোলাস জন্মেছিলেন। এই বিশপের মৃত্যুর পর তাকে সমাধিস্থ করা হয় মায়রাতে। মায়রার উপরেই ডেমরে শহরটি গড়ে উঠেছে।
প্রচলিত বিশ্বাস, নিকোলাসের অস্থি চুরি করে ইতালির বারিতে নিয়ে যায় নাবিকেরা। এই বারিতে-ই তার স্মরণে তৈরি করা হয়েছে ব্যাসিলিকা ডি সান নিকোলা। তুরস্কের সমাধি আবিষ্কারের পর আন্তালায়া সার্ভেয়িং অ্যান্ড মনুমেন্টস-এর অধিকর্তা সেমিল কারাবায়রাম নিশ্চিত, বারি-তে যে অস্থি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়, সেগুলো অন্য কোনো ধর্মযাজকের, সেন্ট নিকোলাসের নয়।