সকাল থেকেই আকাশে মেঘের খেলা। কখনও কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সাগরে নিম্নচাপের কারণে সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে- এমন সংকেত আবহাওয়া অফিস আগেই দিয়ে রেখেছে। আবহাওয়া বার্তায় বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টির কথা বলা আছে এখনও।
আবহাওয়া বার্তার সতত্য মিলল রোববার বিকেলে। হঠাৎ করেই আকাশ যেন ধারণ করল ভিন্ন এক রূপ। গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতে এমন বৈরী আবহাওয়া খুব কমই দেখেছে রাজধানীবাসী।
রোববার বিকেল ৪টার পর থেকে আকাশের রূপ বদলে যায়। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ধোঁয়া, কুয়াশা নাকি ধোঁয়াশা; কিছুই যেন ঠাহর করা যাচ্ছিল না।
হালকা বাতাসে তুষারের মতো আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে মেঘ, ছুটে যাচ্ছে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। মুহূর্তেই অন্য প্রান্ত থেকে এসে তুষারসদৃশ মেঘেরা ফাঁকা জায়গা পূরণ করে নিচ্ছে!
যেন পৌষের কোনো সকালে কুয়াশার আবরণে ঢেকে গেছে রাজধানী ঢাকা। তুষারপাত নাকি মেঘমালা- এ নিয়ে ধন্দেও পড়েন অনেকে।
রাজধানীর সাতরাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়ে কথা হয় সিএনজি অটোরিকশাচালক আব্দুল হামিদের সঙ্গে। বললেন, গত ১৫ বছর ধরে ঢাকায় আছি। বৃষ্টির দিনে এমন মেঘ কোনো দিন দেখিনি। মনে হচ্ছে, পৌষ মাসের শীতের কুয়াশা।
আবহাওয়ার হালচাল আর আগের মতো বুঝতে পারেন না- জানিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব এ চালক বলেন, ‘জীবনে তো অনেক কিছুরই পরিবর্তন দেখলাম। কত কিছু যে আরও দেখতে হবে, বুঝতে পারছি না। ’
রোববার বিকেলের এ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় আবহাওয়া অধিদফতরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘সাগরে নিম্নচাপ বইছে। মেঘেরা অনেকটাই নিচে নেমে আসে এ সময়। নিম্নস্তরের মেঘের কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। এ মেঘ বাতাসে উড়ে কিন্তু বৃষ্টি ঘটায় না।’
জলবায়ুর পরিবর্তনের কোনো প্রভাব হতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহিম বলেন, ‘নিত্যদিনই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। এর প্রভাবও আমরা নানাভাবে দেখতে পাচ্ছি। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণেও এমনটি হতে পারে। তবে এমন আবহাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে রেকর্ড নেই।’