৮ জুনের আগাম নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যা গরিষ্ঠতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার পর এই পদত্যাগের ঘোষণা আসলো।
এর আগে থেরেসা মে সতর্কতা জানিয়ে বলেছিলেন, যদি তিনি টিমোথি ও ফিওনা হিলকে বরখাস্ত না করেন তাহলে তাকে দলে নেতৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে নিক টিমোথি জানিয়েছেন, নির্বাচনের হতাশ ফলাফলে তার ভূমিকার দায় স্বীকার করেছেন এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে।
টিমোথি জানান, কনজারভেটিভ পার্টির বহুল সমালোচিত ইশতেহারে সামাজিক সেবার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত না করার জন্য তিনি দুঃখিত।
পদত্যাগের বিবৃতিতে টিমোথি জানিয়েছেন, সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারানোর পেছনে থেরেসা মে ও কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন কমে যাওয়া দায়ী নয়। এ জন্য দায়ী লেবার পার্টির অপ্রত্যাশিত জনসমর্থন বেড়ে যাওয়া।
এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগে থেরেসা মে কিছুটা স্বস্তিতে থাকবেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচক বলে পরিচিত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টা।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে থেরেসা মে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও ৩১৮টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দলের অবস্থান ধরে রেখেছে। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দলটিকে ঝুলন্ত সংসদ গঠন করতে হচ্ছে। থেরেসা মে ঘোষণা দিয়েছেন, নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্টদের (ডিইউপি) তিনি সরকার গঠন করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন, লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও কনজারভেটিভ পার্টির ভেতর থেকেও থেরেসা মে’র পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে।